আতালান্তা রূপকথা থামলো কোয়ার্টার ফাইনালেই। পিএসজি কান্ডে স্তব্ধ প্রতিপক্ষ, চোখে মুখে অবিশ্বাস দুদলেই। ক্লাব প্রতিষ্ঠার ৫০তম বর্ষপূর্তির রাতটা বিষাদে মলিন হতে দেয়নি ফরাসী জায়ান্টরা। গত ক’আসরে নকআউট থেকে অভিনব বিদায়ের যে রীতি তৈরী করেছিলো পিএসজি, সেখান থেকেই প্রেরণা নিয়ে এ এক অন্য ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়ন।
নব্বইতম মিনিট। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা আতালান্তা তখন জয়োদযাপনের জন্য তৈরী হচ্ছে। তবে হাল ছাড়েননি নেইমার। তার ম্যাজিক টাচে স্বদেশী মারকুইনোসের গোলে সমতা।
নেইমার যদি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হন, এমবাপ্পেও দেখালেন কেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামী ফুটবলার তিনি। মাত্র ১৪৯ সেকেন্ডের ব্যবধানে পিএসজির দ্বিতীয় গোলের কারিগর। স্কোরার চুপো মুতিং। অথচ হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে এই ম্যাচে এমবাপ্পের খেলা নিয়েই ছিলো সংশয়। বদলী হিসেবে নেমেই আতালান্তার জমাট রক্ষণকে করেছেন টালমাটাল।
লিসবনের স্তাদিও লা লুজে দ্বিতীয়ার্ধ যেমন পিএসজির,প্রথমার্ধ ছিলো আতালান্তার। সিরি আ তে ৯৮ গোল করা দলটি আক্রমনে ভয়ঙ্কর। ২৬ তম মিনিটে মারিও পাসালিচের গোলে এগিয়ে যায় গাসপারিনির দল। তারও আগে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও অবিশ্বাস্য মিস করেন নেইমার।
তবে পুরো ম্যাচে ১৬টি সফল ড্রিবলিং করে এই ব্রাজিলিয়ান ছুঁয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসির গড়া সর্বোচ্চ রেকর্ডকে। আক্রমন তৈরীতে নেইমার টাচ যতটা ধারালো ছিলো, ফিনিশিংয়ে ততটাই মলিন। তাই হয়তো ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত কঠিন করে জিতেছে পিএসজি।
১১বার অংশ নিয়ে চতুর্থবার কোয়ার্টার ফাইনালের হার্ডল পেরুলো পিএসজি। শেষ চারে প্রতিপক্ষ লাইপজিগ কিংবা আতলেতিকো মাদ্রিদ।