Type to search

নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের কোটি টাকার মালামাল পাচারের অভিযোগ

অন্যান্য অপরাধ

নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের কোটি টাকার মালামাল পাচারের অভিযোগ

নওয়াপাড়া অফিস:
অবৈধ ভাবে পাচারের অভিযোগে নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের কোটি টাকার (স্ক্রাপ) পুরাতন যন্ত্রংশ জব্দ থাকার দুই দিন পর মিল কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে তা আবার পাচার হয়েছে।
মঙ্গলবার(১/৮/২৩) সকালে দুইটি ট্রাকে করে ওই মালামাল পাচার করা হয়েছে। মিলের শ্রমিকদের অভিযোগ মিল ইনচার্জ আতিকুর রহমানের সহযোগিতায় এ মালামাল পাচার হচ্ছে। খুবই গোপনে খুলনার মানিকতলার আইশা এন্টার প্রাইজের জনৈক রাজা বাবুর কাছে এ মালামাল বিক্রি করা হয়েছে। গত রবিবার সকালে ওই মালামাল পাচার হয়ে যাওয়া কালিন থানা পুলিশ তা জব্দ করে।
জানা গেছে,নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলটি ১৯৬২ সালে তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্তানী তিন সহোদর আব্দুল্লাহ, সুকুর আলী, সফিকুর রহমান মিলটি প্রতিষ্ঠা করেন। মিলটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি পায়। স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠাতারা বাংলাদেশ থেকে চলে গেলে তৎকালীন সরকার মিলটি জাতীয়করন করেন। মিলটি লাভজনক হওয়ায় ১৯৮৯ সালে মিলের আরও একটি অংশ বাড়িয়ে ১ নম্বর এবং দুই নম্বর মিল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর মিলটি লোকসানে পরিনত হওয়ার কারণে ২০০৮ সালে মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন সময়ে মিলটি চুক্তিভিত্তিতে চালু করা হয়। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) নিয়ন্ত্রনে থাকা মিলটি নারায়নগঞ্জের ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র সাহা ভাড়া নিয়ে চালু রেখেছেন। বর্তমানে ১৫০ থেকে ২০০ শত শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। শ্রমিকদের আশংকা এ ভাবে গাছ ও মালামাল চুরি বিক্রি হতে থাকলে মিলটি আবারো বন্ধ হয়ে যাবে।
মিলের কর্তব্যরত একাধিক শ্রমিক জানান, মিলের ইনচার্জ মো: আতিকুর রহমান খুব গোপনে টেন্ডার করে প্রায় এককোটি টাকার মূল্যের মালামাল বিক্রি করার সব ব্যবস্থা করেছেলো। যা ষ্টোরে রক্ষিত ছিল সে গুলো ট্রাক ভর্তি করে পাচার করে দিলেন। যার মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ১২৫ টাকা। পাচারের সময় ট্রাক দু’টি শ্রমিকরা আটকে দিলেও স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে ট্রাক দুটি মিল থেকে বের করে দেয়।
মালামাল ক্রয়কারী মেসার্স আইশা এন্টার প্রাইজের মালিক মো: নাজিম উদ্দিন রাজা বলেন, কাগজে ৫ লাখ টাকা থাকলে কি তাই হয়। আমাকে ২০ লাখ টাকারও বেশী খরচ করতে হয়েছে। আমি বৈধভাবে মালামাল নিয়েছি।

মিল ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, আমি কোন সুবিধা নেয়নি। আমার ২৫ কোটি টাকার মালামাল বিনা টেন্ডারে বিক্রি করার ক্ষমতা আছে। যে মালামাল বিক্রি করা হয়েছে তা আমার উর্ধতন কতৃপক্ষের নলেজে আছে।বিক্রিত মালামালের দাম ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জিয়াউল হক বলেন, কম টাকায় মালামাল বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *