Type to search

নওয়াপাড়ায় আমদানীকারক ও কৃষি কর্মকর্তার কারসাজিতে সারের মুল্য বৃদ্ধি

অভয়নগর

নওয়াপাড়ায় আমদানীকারক ও কৃষি কর্মকর্তার কারসাজিতে সারের মুল্য বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার:
চলতি আমন মৌসুমে যশোরের শিল্প ও বন্দরনগরী নওয়াপাড়ায় বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সারের মুল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা ন্যায্যমুল্যে সার ক্রয় করতে পারছে না। অতিরিক্ত মুল্য দিয়ে তারা সার ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। আমদানীকারকরা সিন্ডিকেট করে সারের মুল্য বৃদ্ধি করেছে বলে খুচরা বিক্রেতা ও ডিলারদের অভিযোগ। বেশী দামে বিক্রির ফলে কৃষক ভর্তুকির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের সারের সবচেয়ে বড় মোকাম নওয়াপাড়া। নওয়াপাড়া থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সার সরবরাহ হয়ে থাকে। নওয়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নওয়াপাড়ায় প্রতিবস্তা ইউরিয়া সার বিক্রয় হচ্ছে ৮’শ ১০ টাকা থেকে ৮’শ ৫০ টাকা, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি তিউনেশিয়া) ১ হাজার ৩’শ টাকা থেকে ১ হাজার ৩’শ ৫০ টাকা, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি মরক্কো) ১ হাজার ১’শ ২০ টাকা, ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ৮’শ ৯০ টাকা থেকে ৯’শ ১০ টাকা।
জানা গেছে, সরকার বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সারের ওপর ভর্তুকী প্রদান করে। প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ইউরিয়া সারের সরকারী খুচরা মুল্য ৮ শত টাকা, টিএসপি ১ হাজার ১’শ টাকা, ডাই এ্যমোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) ৮’শ টাকা।
কৃষকদের অভিযোগ, প্রতিকেজি ইউরিয়া সার খুচরা দোকানদাররা ১৭ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি করছে। টিএসপি (তিউনেশিয়া) প্রতি কেজি ২৬ থেকে ২৭ টাকা, টিএসপি মরক্কো ২৪ থেকে ২৫ টাকা ডিএপি প্রতি কেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা দামে কিনতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ডিলার বলেন “ আমদানীকারকদের কাছে আমরা জিম্মী। সার দেয়ার সময় নানা রকম তালবাহানা করে। দাম বেশী নিলেও আমাদের কিছু করার থাকে না।
কৃষক নিত্যানন্দ পাল বলেন, আমি প্রতি কেজি টিএসপি ২৫ টাকা, ডিএপি ১৮ টাকা, ও ইউরিয়া ১৭ টাকা করে কিনেছি।
উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের কৃষক আবুল হাসান বলেন, বর্নী বাজার থেকে এক বস্তা (৫০ কেজি) ইউরিয়া সার (মোটা) ৮১০ টাকা কিনেছি। তবে চিকন ইউরিয়া প্রতি কেজি ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক খুচরা সার ব্যবসায়ী বলেন, কৃষি কর্মকর্তা নিয়মিত বাজার মনিটরিং কওে না। ডিলার ও আমদানী কারকদের কাছে সার আনতে গেলে ভাল ব্যবহার করে না। দাম বেশী নিলেও আমরা অসহায়। যে কারনে আমরাও বেশী দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই।
আমদানীকারক নওয়াপাড়া ট্রেডার্সের সার বিক্রয় প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জনি বলেন “আমরা ন্যায্য মুল্যে সার বিক্রি করছি।”
অভয়নগর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মো: গোলাম সামদানী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করে থাকি। গত মঙ্গলবার আমদানীকারক নওয়াপাড়া ট্রেডার্সে গিয়েছিলাম তারা প্রতি বস্তায় লেবার বাবদ ৩ টাকা বেশী নিচ্ছে। বেশী না নেয়ার জন্য আমরা চিঠি দেব।