চৌগাছায় নেশার টাকা না পেয়ে পিতা- মাতাকে কুপিয়ে হত্যা
শ্যামল দত্ত,চৌগাছা (যশোর) থেকে
যশোরের চৌগাছায় নেশার টাকা না পেয়ে বাবা মহিরউদ্দিন (৬৫) ও মা আয়না বেগমকে (৫৫) কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে মিলন হোসেন (৩৭) নামে এক মাদকাসক্ত যুবক। মহিরউদ্দিন উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তোয়াক্কেল হোসেনের পুত্র। এঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের নেতৃত্বে খুনি মিলনকে দৌড়িয়ে রাজাপুর-বর্ণি মাঠের মধ্য থেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। পুলিশ মিলনকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর একটার দিকে হত্যাকারি মিলনকে জনতা আটক করে পুলিশে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, নিহতদের বাড়ি গ্রামের অন্য বাড়িগুলো থেকে একটু দুরে এবং ফাঁকা জায়গায় অবস্থিত। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা বাড়িতে গিয়ে মহিরউদ্দিন ও আয়না বেগমকে বাড়ির উঠানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। একই সময়ে তাদের বড় ছেলে মিলনকে পালিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়রা তার পিছু নেয়। পরে দুপুর একটার দিকে গ্রাম থেকে তিন/চার কিলোমিটার দুরের একটি মাটের মধ্য থেকে আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ আটক মিলনকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন বলেন, মোবাইলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি দুজনের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। তাদের ছেলে মিলনই হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার পথে গ্রামবাসির হাতে আটক হয়। মিলন আগে থেকেই মাদকাসক্ত। প্রায়ই নেশার টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধর করতো। তার ছোট ভাই লেখাপড়ার সুবাদে বাইরে থাকার সুযোগে সে এভাবে বাবা-মাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন মিলন বছর পাঁচেক আগে গ্রামের খাইরুল নামে এক ব্যক্তিকে একাই কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালায়। ওই মামলার আসামি হিসেবে জেলও খেটেছে। স্থানীয়রা আরো জানান মিলন বেশ কয়েকবার মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। মৃতদেহ উদ্ধারে যাওয়া কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও তার মাদকসহ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মিলন একাই তার বাবা-মাকে হত্যাকান্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি মৃতদেহকেই ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।