Type to search

চৌগাছায় নারী নির্যাতন মামলায় স্বামী স্ত্রী-গ্রেপ্তার

জেলার সংবাদ

চৌগাছায় নারী নির্যাতন মামলায় স্বামী স্ত্রী-গ্রেপ্তার

 

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় ইরানি খাতুন ও আনোয়ারুল ইকবাল নামে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে চৌগাছা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ।
গ্রেপ্তার আনোয়ারুল ইকবাল ও তার স্ত্রী ইরানি খাতুন চৌগাছা শহরের ব্র্যাক পাড়ার বাসিন্দা। মামলার অপর দুই আসামী বাদির স্বামী রফিক মাহমুদ ওরফে হিরো আহমেদ ও তার ভাই হাসান মাহমুদ পালাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায় ২০০০ সালে যশোর শহরের পূর্ব বারান্দি মোল্লাপাড়ার মফিজুর রহমানের মেয়ের সাথে চৌগাছার কয়ার পাড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে রফিক মাহমুদ ওরফে হিরো’র ৭০ হাজার ১টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৭ বছর বয়সী একটি কন্যা ও ৬ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী রফিক মাহমুদ তার ভাই হাসান মাহমুদ, বোন ইরানি ও ভগ্নিপতি আনোয়ারুল ইকবালের পরামর্শে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে। পরে বাদির পিতা বিভিন্ন সময়ে নগদ ৭ লক্ষ টাকা ও ৩ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র দেয়। এরপরও ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে হত্যার হুমকি ও মারপিট করতে থাকে। বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌছালে বাদি তার পিতাকে সংবাদ দিলে ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর বাদির পিতা, চাচা ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে বাদির স্বামীর বাড়িতে আসে। সেখানে বাদির স্বামী, তার ভাই, বোন ও ভগ্নিপতিকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এরপরও রফিক মাহমুদ ওরফে হিরো আহমেদ উত্তেজিত হয়ে বাদির পিতা, চাচা, গণ্যমাণ্য ব্যক্তি ও সন্তানের সম্মুখে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে আহত করে। বাদির পিতা ও স্বাক্ষীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়াইয়া দেয়। পরে বাদিকে তার পিতা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তিনি আরজিতে আরো উল্লেখ করেছেন সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এরপরও বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করলেও মিমাংসা না হওয়ায় তিনি এই মামলা করছেন।
পরে আদালত বিবাদিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে চৌগাছা থানা পুলিশ মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে পাঠিয়েছে।