Type to search

চেয়ারম্যানকে ঘুষ দিয়েও ঘর পেলেন না আক্কাছ মিয়া!

জেলার সংবাদ

চেয়ারম্যানকে ঘুষ দিয়েও ঘর পেলেন না আক্কাছ মিয়া!

হতদরিদ্র আক্কাছ মিয়া

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে হতদরিদ্র আক্কাছ মিয়া সরকারি ঘর পাবার আশায় সুদে টাকা এনে তুলে দিয়েছিলেন চেয়ারম্যানের হাতে। আজ-কাল করতে করতে তিন বছর কেটে গেলেও তার ভাগ্যে জোটেনি ঘর।

এদিকে তিন বছরে সুদের টাকা তিনগুণ হয়েছে। ভুক্তভোগী মো. আক্কাছ মিয়া উপজেলার বড়তলী-বানিহারী ইউনিয়নের কলুঙ্কা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান একই ইউনিয়নের হাজী মো. মুখলেছুর রহমান।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সোমবার বিকেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আক্কাছ মিয়া। 

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কলুঙ্কা গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র মো. আক্কাছ মিয়া গত ২০১৮ সালে হতদরিদ্রদের জন্য সরকারিভাবে দেয়া একটি ঘরের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. মুখলেছুর রহমানের কাছে যান। তখন তাকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা দিতে বলেন চেয়ারম্যান। টাকা দিতে এলাকার এক মহাজনের কাছ থেকে সুদে দশ হাজার টাকা জোগাড় করে এনে চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান তাকে ঘর দেবেন বলে আজ-কাল করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।

এভাবে তিন বছর কেটে গেলেও আজও সরকারি ঘর আর জোটেনি তার কপালে। শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আক্কাছ।

ভুক্তভোগী বলেন, আমার মতো অনেকেই সরকারি ঘর পেয়েছে। কিন্তু আমি একটি ঘর পাওয়ার আশায় তিন বছর আগে মহাজনের কাছ থেকে সুদে দশ হাজার টাকা এনে চেয়ারম্যানকে দিয়েছি। দশ হাজার টাকায় প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে সুদ দিয়ে যাচ্ছি।
দশ হাজার টাকায় তিন বছরে ৩৬ হাজার সুদ গুনতে হচ্ছে। আজও ঘর পেলাম না। মহাজনের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো, এই ভেবে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. মুখলেছুর রহমান বলেন,  আক্কাছ মিয়ার জায়গা-জমি থাকায় সে ঘর পাওয়ার যোগ্য নয়। তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি এখনো আমার নজরে আসেনি। তবে বিষয়টি দেখে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সূত্র, বিডি প্রতিদিন