Type to search

চীনের জ্বালানি তেল আমদানির ঘোষণায় দাম বাড়ল

আন্তর্জাতিক

চীনের জ্বালানি তেল আমদানির ঘোষণায় দাম বাড়ল

করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে চীন। এ কারণে দেশটি জ্বালানি আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তবে চীনের এমন সিদ্ধান্তের পরপরই আবারও বেড়েছে জ্বালানির দাম। এদিকে দাম বাড়ায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির আশা করছে ওপেকসহ উৎপাদক ও রপ্তানিকারকরা। খবর রয়টার্স

অপরিশোধিত ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯২ ডলার ২৯ সেন্টে পৌঁছেছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট-ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ৫৬ সেন্ট বা দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৬ ডলার ১৭ সেন্টে পৌঁছেছে।

অর্থনৈতিক মন্দা ও করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে মধ্যমেয়াদি ঋণে ঝুঁকছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দ্বিতীয় মাসেও সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে মধ্যমেয়াদি নীতিতে ঋণের কথা বলছে তারা। এদিকে অভ্যন্তরীণ সরবরাহের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে কয়লা, তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতের ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন। দেশটির জাতীয় শক্তি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আরও জ্বালানি সঞ্চয় করবে চীন।

চলতি সপ্তাহে চীনের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও দেশটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়েছে। তবে দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে।

সামনের দিনগুলোয় তেলের দাম অস্থির থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তারা মনে করছেন, সুদের হার বাড়িয়ে মার্কিন ডলারকে আরও শক্তিশালী করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় ডলারের বিপরীতে অন্যান্য মুদ্রার দরপতন হবে; যার ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যাবে।

সেন্ট লুইস ফেডের প্রেসিডেন্ট জেমস বুলার্ড  বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ভয়ানক হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। জ্বালানি উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পরপরই প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল কম উৎপাদন হচ্ছে; যা বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকির ইঙ্গিত দিচ্ছে।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *