এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে যশোর জংশনে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, কপলিংক ভেঙে যাওয়ায় ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। ফলে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে খুলনা থেকে রিলিফ ট্রেন এসে তাকে উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, বেনাপোল থেকে ট্রেনটি বিকেল ৫টার দিকে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে যশোর স্টেশনে প্রবেশ করার সময় মেইন লাইন থেকে ৩ নম্বর লাইনে উঠতে গিয়ে দ্বিতীয় বগির কপলিংক ভেঙে যায়। এতে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়।
হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে তিনি বলেন, রেলক্রসিংয়ের ওপর ট্রেনের বগি আটকে থাকায় যশোর থেকে চাঁচড়ায় চলাচলের সড়কটিও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ট্রেনটি যেহেতু জংশনের মাত্র কয়েকশ গজের ভেতর লাইনচ্যুত হয়, এ কারণে এর গতি অনেক কম থাকায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
সাইফুল ইসলাম নামে একজন যাত্রী বলেন, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার পর ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় প্রচণ্ড ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। অনেক যাত্রী হুড়োহুড়ি করে নামতে থাকেন। অনেকের লাগেজ ও মালপত্র খোয়া যায় বলে তিনি জানান।