Type to search

কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

বাংলাদেশ

কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির আগে লকডাউন শুরু হতে যাওয়ায় কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দিনাজপুর জেলার ৫৮ হাজার খামার মালিক। সারা বছর খামারে পরিশ্রম ও বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করার পর এখন পশুর বাজার ও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নে বিশাল গরু ও ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন ঝলঝলি বহুমুখী সমবায় সমিতি নামের একটি সমবায় সংগঠন। ঐ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান জানান, এবার কোরবানি সামনে রেখে লাভের আশায় তারা ৫৩টি গরু ও ২৩টি ছাগল প্রস্তুত করেছেন।

 

করোনায় কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

 

বিনিয়োগও করেছে প্রচুর অর্থ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এবং লকডাউন শুরু হতে যাওয়ায় এখন গরু ও ছাগলের বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পশুর দাম কমতে শুরু করেছে। তিনি জানান, যদি কোরবানিতে পশুর হাট না বসে তাহলে ন্যায্য দাম তারা পাবেন না। এতে আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিতে পড়তে হবে।

 

 

একই কথা জানান বিরল উপজেলার ঝিনাইকুড়ি গ্রামের প্রান্তিক খামার মালিক কালু মোহাম্মদ। তিনি জানান, কোরবানি সামনে রেখে পরিবারের সর্বস্ব ব্যয় করে তিনি পাঁচটি গরু মোটাতাজা করেছেন। নিজে ঠিকমতো না খেয়ে গরুর পেছনে ব্যয় করেছেন অর্থ ও শ্রম। এখন দেশের যে অবস্থা, তাতে সঠিক দাম না পেলে পথে বসতে হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। শুধু আব্দুল আউয়াল খান বা কালু মোহাম্মদ নয়, একই রকম শঙ্কা ব্যক্ত করেন দিনাজপুর জেলার ৫৮ হাজার খামার মালিক।

 

পাবনায় কোরবানি সামনে রেখে গরু নিয়ে চিন্তায় খামারিরা, দেখা নেই ব্যাপারীর 

 

দিনাজপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. আশিকা আকবর তৃষা জানান, গত বছরও কোরবানির সময় করোনা পরিস্থিতি ছিল। করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই গত বছর জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে পশু বেচাকেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য খোলা হয় ‘অনলাইন পশুর হাট’ নামের একটি ফেসবুক আইডি। এর মাধ্যমে গত বছর কোরবানিতে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকার পশু বেচাকেনা হয়। এবারও এ পরিস্থিতিতে অনলাইনের মাধ্যমে আরো ব্যাপক আকারে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে এবং এতে খামার মালিকরা তাদের প্রস্তুত করা পশুর ন্যায্য দাম পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরো জানান, কোরবানি সামনে রেখে এবার দিনাজপুর জেলার ছোট-বড় মিলিয়ে ৫৮ হাজার ৫৫টি খামারে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৩টি কোরবানির পশু প্রস্তুত হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ২১৬টি গরু এবং ৭৪ হাজার ৫৬৭টি ছাগল। আসন্ন কোরবানিতে দিনাজপুর জেলার চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৮টি পশু। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৫৪ হাজার ৫১৫টি পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি।সূত্র, ইত্তেফাক