কেশবপুরে সাংবাদিকের মাছের খামার দখলের চেষ্টা জামাল বাহিনীর

সাংবাদিক আজিজুর রহমান জানান, দীর্ঘকাল তিনি তাঁর পৌর এলাকার মধ্যকুল গ্রামে বাড়ি পাশে একটি মাছের খামার পরিচালনা করে আসছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর মাছের ঘের জামাল বাহিনী দখল করার হুমকি দেয়। সে সময় তিনি ঘটনাটি স্থানীয় এমপিকে জানান।
তিনি আরও জানান, জামাল বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তারা ক্ষুব্ধ ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী জামাল বাহিনীর ক্যাডাররা আমার মাছের খামার দখলের চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিলে আসামিরা হামলা চালিয়ে আমার ছোট ভাই আমিনুর রহমানকে (৪৬) মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে ঠেকাতে গেলে ভাইপোকেও পিটিয়ে জখম করে। একই সঙ্গে ২৩ হাজার ৭শ টাকা মূল্যের আমার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে। আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী জামাল বাহিনীর হাতে এলাকার মানুষ জিম্মি। এ বাহিনী বর্তমানে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। জামালের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার ও আমার পরিবারের উপর সে ক্ষুব্ধ ছিল। বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হুমকি-ধমকিও দিয়েছে।
আহতদের কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে সাংবাদিক আজিজুর রহমান বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন, কেশবপুর উপজেলার মধ্যকূল গ্রামের আবদুল গণি শেখের ছেলে জামাল উদ্দিন (২৯), মজিদ দফাদারের ছেলে জুয়েল দফাদার (৩৬), শফি সরদারের ছেলে ফিরোজ সরদার (২৮), ইসলাম সরদারের ছেলে রিপন সরদার (২৬), সাজ্জাদ সরদারের ছেলে শাওন সরদার (২৬), লুৎফর রহমান ঢালীর ছেলে হোসেন ঢালী (২৬), বায়সা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে মাসুদুজ্জামান (২৬) ও ছোট আলতাপোল গ্রামের আবদুল আজিজ ছোটোর ছেলে ইকরামুল (৩২)।
পুলিশ রাতে মামলার প্রধান আসামী জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে। এ প্রসঙ্গে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত জামাল উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে। সন্ত্রাসী কার আশ্রয়ে আছে, সেটি দেখবে না পুলিশ। সন্ত্রাসীকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমানের মাছের খামার দখলের চেষ্টা এবং তার পরিবারের উপর হামলার প্রতিবাদে কেশবপুর প্রেসক্লাবে শনিবার বিকেলে এক জরুরী সভার ডাক দিয়েছে। এ ঘটনায় কেশবপুরের সাংবাদিক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।