Type to search

কেশবপুরে  বিল  বুড়ুলীর সাড়ে ৪ হাজার  বিঘা জমিতে ধান  চাষের লক্ষে স্বেচ প্রকল্পের  কাজ শুরু

যশোর

কেশবপুরে  বিল  বুড়ুলীর সাড়ে ৪ হাজার  বিঘা জমিতে ধান  চাষের লক্ষে স্বেচ প্রকল্পের  কাজ শুরু

 

জাহিদ আবেদীনবাবু,কেশবপুর(যশোর) :
ধান  চাষ হবে কি হবে না!-এই নিয়ে যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিল বুড়–লীর  আশপাশের প্রায় ৮/৯ গ্রামের  সাড়ে ৪ হাজার বিঘা জমির মালিকদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। ৮নং সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ঘের ব্যবসায়ী মোঃ মনজুর রহমানের সার্বিক প্রচেষ্টায়  সাধারন কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতায়  সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে  অবশেষে ধান চাষের লক্ষে বিল বুড়–লীর স্বেচ প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
বুধবার আছর বাদ এলাকার শত শত  কৃষকদের  উপস্থিতিতে বুড়–লী  গেটের মাথায়  দোওয়া  শেষে  স্বেচ প্রকল্প কাজের  শুভ উদ্বোধন করেন স্বেচ  কমিটির সভাপতি  সাবেক চেয়ারম্যান  মনজুর রহমান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে  স্বেচ প্রকল্পের  সাধারন সম্পাদক সাবেক মেম্বর আব্দুল কাদের, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর মাহাবুবুর রহমান, সিরাজুল সরদার, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক  ইসলাম উদ্দীন,  আলহাজ্ব  মোঃ শাহাদাৎ  হোসেন, মোহাম্মদ আলী, সমীর মাষ্টার,আজিুর রহমান মোল্যা ও সেলিম মোল্যাসহ শত শত কৃষক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে  দোওয়া পরিচালনা করেন মসজিদের ঈমাম শাহাদাৎ হোসেন।
স্বেচ কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মনজুর রহমান বলেন, এই বিলে কৃষ্ণনগর, চুয়াডাঙ্গা, বুড়–লী, সারুটিয়া, কায়েমখোলা, হাড়িয়াঘোপ, বেতিখোলাসহ ৮/৯  গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বিঘা জমি রয়েছে। মাছ চাষের পাশাপাশি এই বিলে বছরে একবার ধান চাষ হয়ে থাকে।একটি মাত্র  ফসল ইরি-বোরো চাষের  উপর এলাকার কৃষকদের সারা বছরের খোরাক ঘরে ওঠে। তাই কৃষকদের কথা ভেবেই বিলে চাষ চাষের উপযোগী করে তুলতে এই স্বেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০টি স্যালো ম্যাশিন দিয়েই প্রথমত বিলের পানি স্বেচের কাজ শুরু করা হয়েছে ।পর্যায়ক্রমে আরো ১০টি ম্যাশিন এই স্বেচ কাজে ব্যবহার করা হবে। এই ভাবে স্বেচ অব্যাহত থাকলে আশা করা যাচ্ছে ১৫/২০ দিনের মধ্যে বিলে ধান চাষের উপযোগী হয়ে উঠবে।