কেশবপুরে কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণের দেবী মূর্তি উদ্ধারের জন্য সংবাদ সম্মেলন
অপরাজেয় বাংলা ডেক্স-যশোরের কেশবপুর উপজেলার মির্জানগর গ্রামের নবাববাড়ি পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের দেবী মূর্তিটি সরকারের প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরে জমা দেয়ার দাবিতে সোমবার সকালে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার মির্জানগর গ্রামের শেখ ওয়াজেদ আলীর ছেলে জামশেদ আলী বিশে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ৬ মে রাত ১০টার দিকে নবাববাড়ি এলাকার সন্তোষ দত্তের ছেলে গনেশ দত্ত সাতবাড়িয়া বাজার থেকে মাছের খাদ্য ক্রয় করে তার ভ্যানযোগে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় গনেশ দত্ত পুকুরে মাছের খাদ্য ছিটাতে টর্চ লাইট জ্বালানোর জন্যে তাকে নিয়ে যায়। পুকুরে পানিতে নেমে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর তার পায়ে কিছু একটা বেঁধে যায়। তিনি কৌতুহলবশত: কাদার ভেতর থেকে সেটা উদ্ধার করে পরিস্কার করলে বুঝতে পারেন আসলে সেটি একটি দূর্লভ সোনার দেবদেবীর নারী মূর্তি। বিষয়টি বুঝতে পেরে গনেশ দত্ত তার কাছ থেকে মূর্তিটা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে থাকে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার রফিকুল ইসলাম ২ দফা সালিসি বৈঠক বসালেও গনেশ দত্ত ওই মূর্তি পাবার কথা অস্বীকার করে আসছে। সোনার মূর্তিটি আত্মসাতের লক্ষ্যে গনেশ দত্ত সর্বশেষ সালিসে একটি পিতল/কাসার মূর্তি পেয়েছে বলে উপস্থিত সকলকে দেখালেও তার সাথে পুকুর থেকে পাওয়া মূর্তির কোন মিল নেই বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সামজেদ আলী ওই দূর্লভ সোনার দেবদেবীর নারী মূর্তিটি উদ্ধার করে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরে জমা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। বর্তমান গনেশ দত্ত আমিসহ আমার পরিবারকে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সালেহা খাতুন, সোনিয়া খাতুন, নুরজাহান খাতুন, সাদিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ব্যাপারে গনেশ দত্ত বলেন, বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান কয়েক দফা সালিস করে মিমাংশা করে দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, নবাববাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মূর্তি নিয়ে কয়েক দফা সালিস করে বিষয়টি নিরসন করা হয়েছে।
কেশবপুর থানার ওসি মো. শাহিন বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত চলছে। সত্যতা মিললে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।