করোনায় যশোরে ৮ উপজেলর মধ্যে অভয়নগর এখন হিটলিষ্টে
চৈতন্য কুমার পাল: যশোরের অভয়নগর উপজেলায় প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা দিনিদিন বেড়েই চলেছে। জেলার আট উপজেলার মধ্যে সবশেষে করোনা রোগীর সন্ধান মেলে এ উপজেলায়। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার আটটি উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৫ জন। এর মধ্যে শুধু অভয়নগরে এ সংখ্যা ১১২ জন বলে জানা গেছে। আর এ রোগে জেলায় মারা যাওয়া দুজনেরই বাড়ি অভয়নগরে।
যশোর জেলা সিভিলসার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় ৮ এপ্রিল প্রথম মণিরামপুরে উপজেলার একজন স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। ১২ তারিখ ওই কর্মীর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরমাত্র এক সপ্তাাহের মধ্যে জেলার সব উপজেলায় করোনা পজিটিভ সনাক্ত হলেও অভয়নগরে ৫ মে প্রথম একজন ভ্রাম্যমাণ তরকারী বিক্রেতার শরীরে করোনা সনাক্ত হয়।
সুত্রমতে গতকাল পর্যন্ত জেলায় মোট ৩৬৫ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে মণিরামপুর উপজেলায় ১৮ জন, কেশবপুরে ৩১ জন, বাঘারপড়ায় ৬ জন, শারসায় ৩৪ জন ঝিকরগাছায় ১৭ জন এবং সদর উপজেলায় ১২৭ জন রোগি রয়েছেন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩০ জন এবং মারা গেছে ২ জন।
জেলা সিভিলসার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা(মিডিয়া) ডাঃ মো রেহেনেওয়াজ বলেন,‘ জেলার আট উপজেলার মধ্যে সবশেষে অভয়নগরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়লেও ওই উপজেলায় এখন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে আর কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুইজনেরই বাড়ি অভয়নগরে।’
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কমৃকর্তার কার্য্যালয়সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ করোনাক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন এবং নওয়াপাড়া পৌরসভার ৫টি ওয়ার্ডকে গত সপ্তাহে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রেডজোনভুক্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে নওয়াপাড়া পৌরসভার ২, ৪, ৫, ৬ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডসহ চলিশিয়া, পায়রা এবং বাঘুটিয়া ইউনিয়ন।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্যকর্মকতা ডা: মো: আলিমুর রাজিব জানিয়েছেন, গতকালের ৪ জনসহ এ পর্যন্ত উপজেলায় করোনাক্রান্তের সঙখ্যা ১১২ জন। এদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মাহামুদুর রহমান রিজভীও রয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬ জন এবং বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৮৩ জন। আর মারা গেছেন ২ জন।
তিনি বলেন,‘ উপজেলায় প্রথম করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে ৫ মে। এরপর ঈদের আগ পর্যন্ত এ উপজেলার অবস্থা বেশ ভাল ছিল। গত ২৫ মে ছিল ঈদুল ফিতর এ সময় পর্যন্ত উপজেলায় করোনা পজিটিভে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ জন। এরপর ২৭ মে ২ জন রোগী সনাক্ত হয়। এ মাসে(জুন) হঠাৎ রোগীর সংখা বেড়ে ১১২ এ দাড়িয়েছে।’