Type to search

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ

জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ১২ নম্বর শর্ত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১৪ নভেম্বরের  পরিপত্রের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে এমপিওভুক্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি রিটকারীদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ বাতিল করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জনবল কাঠামো নীতিমালা অনুযায়ী, রিটকারীদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি-২০২২ এ আবেদন করার সুযোগ প্রদানের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সাপ্তাহের মধ্যে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পৃথক দু’টি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শরিফুল ইসলাম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘‘২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অনুসরণীয় পদ্ধতি’ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। ওই পরিপত্রের ৭.০. নম্বর ক্রমিকে উল্লেখ আছে যে, ‘কর্মরত কোনও শিক্ষক যদি অন্যকোনও প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন, তবে তাকেও অপরাপর আবেদনকারীদের একইরূপ মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হবে’ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ধারা ১২ এবং বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ধারা ২৩.১ এ উল্লেখ্য আছে যে, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে সমপদে বা উচ্চতর পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবে। পূর্বের প্রতিষ্ঠান হতে ছাড়পত্র ও দায়মুক্তি প্রাপ্তি সাপেক্ষে নতুন প্রতিষ্ঠানে এমপিও প্রাপ্য হবে’ অর্থাৎ, কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ আছে।’’

আইনজীবী আরও বলেন, ‘গত বছরের ১৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অপর একটি পরিপত্র জারি করে। এই পরিপত্রে আগের পরিপত্রে ৭.০. নম্বর ক্রমিক সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করে। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর  এনটিআরসিএ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যার ১২ নম্বর শর্তে ১৪ নভেম্বরের তারিখের পরিপত্রের বিষয় উল্লেখ করে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের অন্য প্রতিষ্ঠানে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ বাতিল করেন। এই কারণে এই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির এই অংশ চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ মাহবুব আলম, আনিসুর রহমানসহ ৮৩ জন ইনডেক্সধারী শিক্ষক রিট দায়ের করেন।