Type to search

এই আঁধার 

নড়াইল সাহিত্য

এই আঁধার 

বিলাল মাহিনী 
শিশুকাল পেরিয়ে কৈশরে যখন একটু একটু করে পরিপক্বতা আসার কথা, ঠিক তখন নানা সংকট ঘনীভুত হচ্ছে..
এই শিশুটির রক্তে একুশ ছিলো, একাত্তরও; ছিলো স্বাধীকারের মিছিল।
পিতার রক্ত ধারণে ব্যর্থ হয়েছে শিশুটি, যে পিতা জীবনের এক তৃতীয়াংশ লোকচক্ষুর অন্তরালে অন্ধকারে কাটিয়েছে; পারিবারের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য।
শিশুটি কতোকাল অধিকারের দৃপ্ত পদধ্বনি শোনেনি, দেখিনি রক্তে ভেজা রাজপথ; খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে বিক্ষোভ!
এখনো পারেনি স্বৈরতন্ত্র
-ধনতন্ত্রের শবদাহ দিতে,
ছড়াতে পারেনি জনতার বিপ্লব ; মুক্তির মশাল জ্বেলে আঁধার দূর করতে পারেনি কিশোর শিশুটি। পারেনি উপড়ে ফেলতে পরগাছা-পরজীবী দস্যুদের অদৃশ্য শিকড়!
সালাম-জব্বার বা মতিউর-নুরদের মতো শেষ রক্তবিন্দু ঢেলে দিতে পারেনি রাজপথে, রণাঙ্গনে; গণমানুষের মুক্তির জন্য।
বাকমুক্তি, ক্ষুধামুক্তির একটি গণ আন্দোলন উপহার দিতে পারেনি এই কিশোরটি। তবে কে ধরিবে হাল,
করিবে পরিত্রাণ?
কবে লেখা হবে আগুনের কবিতা, দ্রোহের গান গাইবে কে কবে?
একটি মরু ঝড় আর বঙ্গতুফান এসে নতুন করে সাজিয়ে দিয়ে যাক আমার শিশু-কিশোরভূমকে।