রবিবার, গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের সার্বিক যোগাযোগ সহজ করার লক্ষ্যে জাপানের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকসহ, সেতুর মূল দৈর্ঘ্য হবে প্রায় চার দশমিক আট শূন্য কিলোমিটার। আর দু’পাশ মিলিয়ে মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৩০ কিলোমিটার।
এই সেতু নির্মাণ করা হলে ট্রেনগুলোর রানিং টাইম আনুমানিক ২০ মিনিট কমবে, পরিচালন ব্যয় কমবে এবং রেলের আয় বাড়বে। এ সেতুতে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপন করা হবে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে এ রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর ভার্চুয়ালি স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী জানান, যমুনা নদীর ওপর বর্তমানে একটি সেতু বিদ্যমান থাকলেও, অবকাঠামোগত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দেশের সীমানা ছাড়ানোর কর্মসূচির অংশ হিসেবে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গবাসীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব থাকলে রেল খাতের উন্নয়ন হয় উল্লেখ করে, বিএনপি জামাত সরকারের দায়িত্বে থাকার সময় রেলখাতকে ধ্বংস করেছিল বলে মন্তব্য করেন। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সাথে রেলের আন্তঃসংযোগ করা হবে বলে জানান সরকার প্রধান।
সূত্র, DBC বাংলা