Type to search

আমরণ অনশনে ১৩ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট

অন্যান্য

আমরণ অনশনে ১৩ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট

ডেস্ক রিপোর্টঃ স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে টানা ১২তম দিনের মতো আমরণ অনশন করছেন রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের কর্তব্যরত স্বেচ্ছাসেবী মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর), শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের সামনে আমরণ কর্মসূচি পলন করছেন তারা।  এর ফলে জনগুরত্বপূর্ণ হাসপাতালটিতে বন্ধ রয়েছে করোনা টেস্টের পিসিআর ল্যাব। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে এক্স-রে, সিটি স্ক্যানসহ সব ধরনের ল্যাব সার্ভিস। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছে হাসপাতালের ভর্তিকৃত রোগীরা।

তারা জানান, বৈশ্বিক মহামারি ডেঙ্গু থেকে শুরু করে করোনার পরীক্ষার ক্ষেত্রে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল অদ্যাবধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে রাজস্ব খাতের কোনও মেডিক্যাল টেকনালোজিস্ট কর্মরত নেই। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন সংসদ সদস্য, স্বনামধন্য ডাক্তার, সচিবসহ সব স্তরের মানুষের করোনা পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নির্ভরতার সঙ্গে সম্পন্ন করে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা নির্ণয়ে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবী মেডিক্যাল টেকনালোজিস্ট তাদের জীবন ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করে আসছে।

মেডিক্যাল টেকনালোজিস্টদের সরকারি রাজস্ব খাতে নিয়োগের জন্য প্রথম ধাপে ১৪৫ জন ও দ্বিতীয় ধাপে ৫৭ জন সর্বমোট ২০২ জন মেডিক্যাল টেকনালোজিস্টের অনুমোদন দেয়। কিন্তু এর মধ্যে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১৩ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের নাম তালিকাভুক্ত নেই।

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট শারমিন সিদ্দিকী নুপুর আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, করোনা মহামারিতে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র প্রথম ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ঘোষণা করে সরকার। আর সেই হাসপাতালেই যারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে সাপ্তাহিক কিংবা আইসোলেশন ছুটি বাদ দিয়ে সপ্তাহের ৭ দিন কর্মস্থলে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন তারাই আজ নিয়োগবঞ্চিত। ইতিমধ্যে চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করতে গিয়ে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের দু’জনসহ তাদের পরিবারের ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

আমরণ কর্মসূচি পালনকারীরা বলেন, আমরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবো।

উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবী। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠিও দিয়েছেন নিয়োগবঞ্চিতরা।

সূত্র: DBC News

Tags: