Type to search

আজ ২৯ জুন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

যশোর

আজ ২৯ জুন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে:

আজ ২৯ জুন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনক অমৃতাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারী (বাংলা ১২ মাঘ) যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামের দত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা রাজনারায়ন দত্ত, মা জাহ্নবী দেবী। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার আলীপুর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির জন্মস্থান কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে কোন কর্মসূচী পালন না করায় মধুপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অসাধারণ মেধার অধিকারী মধুসূদন দত্ত শিক্ষা জীবনে মধুসূদন গ্রীক, ফার্সি, জার্মান, ইতালী, ল্যাটিন, সংস্কৃত ভাষা সহ বহুভাষা রপ্ত করেন। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত জীবদ্দশায় রচনা করেন বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ ‘মেঘনাদবধ কাব্য’। এ ছাড়া রচনা করেন কাব্য- ‘তিলোত্তমা সম্বব, ‘ব্রজাঙ্গনা’ ‘বীরঙ্গনা’ ‘চতুদর্শপদী কবিতাবলী’ ‘নীতিমূলক কবিতা’ নাটক-‘শর্মিষ্ঠা’ ‘পদ্মাবর্তী’ ‘কৃষ্ণ কুমারী’ ‘মায়া কানন ’ প্রহসন-‘বুড়োশালিকের ঘাড়ে রোঁ’ উপকথা-রসাল স্বর্ণ লতিকা, অশ্বও কুরঙ্গ, কুক্কট ও মনি, মেঘ ও চাতক, সিংহ ও মশকী ইংরেজী রচনাবলী-দি ক্যাপটিভ লেডি প্রভৃতি মধুসূদনের অমর সাহিত্য কর্ম। মাইকেল মধুসূদন দত্ত অসুস্থ হয়ে ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলাকাতাস্থ আলীপুর হাসপাতালে বেলা ২ ঘটিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৩০ জুন সেন্ট জেমস চার্চ এবং ধর্মযাজকের উদোগে খৃষ্টীয় রীতি অনুযায়ী কলকাতা লোয়ার সার্কুলার রোডের সমাধি স্থলে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পূর্ণ মর্যাদায় কবির মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়। উল্লেখ্য মধুসূদনের জন্মবার্ষিকী প্রতিবছর সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় মহা ধুমধামের সাথে পালিত হলেও তার মৃত্যুবার্ষিকীতে কোন কর্মসূচী পালন না করায়য় মধুপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ##

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *