১৯৭৩ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যাত্রা শুরু হয় ফিজিও থেরাপি স্নাতক ডিগ্রী কোর্স।
১৯৯৩ সালে পূর্ণাঙ্গ ফিজিওথেরাপি কলেজের দাবিতে শুরু হওয়া দীর্ঘ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মহাখালীতে কলেজের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়। ফিজিওথেরাপি সংশিল্ষ্টদের অভিযোগ রাষ্ট্রপতির ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসহযোগিতায় ১১ বছরেও শুরু করা যায়নি নির্মাণকাজ।
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. দলিলুর রহমান জানান,’প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মহাখালির যে জায়গাতে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়, সেখানে বস্তি ছিল সেটা উচ্ছেদ করা হয়। তবে প্রশাসন যথাসময় উদ্যোগ না নেয়ার জন্য সেখানে আবরও বস্তি হয়ে যায়।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে ফিজিও থেরাপি কলেজের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিজিওথেরাপির শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপিস্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইয়াসমিন আরা ডলি বলেন,’২০ বছর আগে আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমাদের যে দাবি ছিল আজ এত বছর পরে আজ যারা ছাত্র-ছাত্রী তারাও ওই একই দাবিতে আন্দোলন করছে।’
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপিস্ট এসোসিয়েশনের অভিযোগ প্রয়োজনের তুলনায় দেশে ফিজিওথেরাপিস্টের সংখ্যা অপ্রতুল। ডা. দলিলুর রহমান আরও বলেন,’সরকারী কলেজ অব ফিজিওথেরাপি, ফিজিওথেরাপির জন্য পদামর্যাদাসহ পদ সৃষ্টি এবং ফিজিওথেরাপি কাউন্সিল এখন যে পর্যায়ে আছে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি এবং নির্দেশনা প্রয়োজন।’
তাই বিশ্ব ফিজিও থেরাপি দিবস উপলক্ষ্যে দেশের পেশাদার ফিজিও থেরাপিস্টদের প্রধান চাওয়া পুর্নাঙ্গ সরকারী ফিজিও থেরাপি কলেজ বাস্তবায়ন।বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপিস্ট এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বলেন,’মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত স্থানে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি দ্রুত বাস্তবায়ন করা।’