Type to search

অভয়নগরে সরকারি বই পাচারের ঘটনায় মামলা না নিয়ে জিডি

অভয়নগর

অভয়নগরে সরকারি বই পাচারের ঘটনায় মামলা না নিয়ে জিডি

নওয়াপাড়া অফিসঃ
অভয়নগর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ভ্যানভর্তি মাধ্যমিক স্তরের সরকারি বই পাচারের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা। মামলা না নিয়ে শুধুমাত্র জিডি নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার আশিকুর রহমান বই পাচারের ঘটনায় অভয়নগর থানায় জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন গত রবিবার সন্ধ্যায় বই প্রকাশনীর এজেন্ট বাবুল খান অফিসের সহকারি খালিদ ইবনে মহির কাছ থেকে বইগুলো নিয়ে যশোর জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হচ্ছিল। পতিমধ্যে নওয়াপাড়া বাজারে পৌছালে কিছু লোক বইগুলো আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ বাবুল খানসহ বইগুলো থানায় নিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে জিডিতে উল্লেখ করা আশিকুর রহমানের বক্তব্য ও শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্যে মিল নেই।
জিডির ব্যাপাওে জানতে চাইলে আশিকুর রহমান আগামীকাল অফিসে আসেন বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
থানা পুলিশ গত রবিবার রাতে উপজেলার নওয়াপাড়া বাজার থেকে বইগুলো উদ্ধার করে।
জানা গেছে, গত রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বই প্রকাশনীর এজেন্ট বাবুল খান ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৩১৮ খানা বই ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিল। নওয়াপাড়া বাজারের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের সামনে বাসে উঠাবার জন্য ভ্যানটি দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পুলিশ খবর পেয়ে বইগুলো আটক করে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায় এ আগে একইভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার বই ওই অফিস থেকে বিক্রি করা হয়েছে।
বই প্রকাশনীর এজেন্ট বাবুল খান বলেন, আমি অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে বইয়ের মেমো দিতে আসছিলাম। ফিরে যাওয়ার সময় উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ৩১৮ পিচ বই নিয়ে যশোর জেলা অফিসে জমা দেওয়ার কথা বলেন। তার কথামত আমি বইগুলো যশোরের উদ্যেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলাম।
জানতে চাইলে অভয়নগর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল বলেন,‘ বাবুল খান সঠিক কথা বলেননি। আমার অফিস থেকে কোনো বই জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়নি। এ ধরণের কোনো রিকুইজিসন আমি দেযনি। কিভাবে অফিসের গোডাউন থেকে বইগুলো বের হল তা খতিয়ে দেখার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করার জন্য বলেছি।’
জেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম গোলাম আজম বলেন,‘ বিষয়টি আমাকে অভয়নগর উপজেলা অফিস থেকে কেউ অবহিত করেনি। এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভয়নগর থানার পরিদর্শক(ওসি) মিলন কুমার মন্ডল বলেন,‘ শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা ওই রাতেই থানায় জিডি করে এবং বই প্রকাশনীর এজেন্ট বাবুল খানকে তাদের হেফাজতে নিয়েছেন। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।’