অভয়নগরে যুবলীগ নেতার কান্ড!
স্টাফ রিপোর্টার: রাতে বাড়ির পাশের দোকানে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যাচ্ছিলেন এক গৃহবধূ(৩৫)। এ সময়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যুবলীগ নেতা প্রজিত বিশ্বাস ওরফে বুলেট(৪৪)। বাঁশবাগানের ফাঁকা রাস্তায় গৃহবধূকে একা পেয়ে প্রজিত তাকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। নিজেকে মুক্ত করার জন্য এসময় প্রজিতের গালে সজোরে চড় মারেন ওই গৃহবধূ। চড় খেয়ে প্রজিত মাটিতে পড়ে যায়। এই অবস্থায় তিনি প্রজিতকে কয়েকটি লাথি মারেন । সুযোগ বুঝে মাটি থেকে উঠে ভৌঁ দৌঁড় দিয়ে পালিয়ে যান ওই যুবলীগ নেতা ।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী গ্রামে গতকাল সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। প্রজিত বিশ্বাস ওরফে বুলেট অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী গ্রামের নিতাই বিশ্বাসের ছেলে। তিনি উপজেলার ২নং সুন্দলী ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। বর্তমানে তিনি ওই ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
ওই গৃহবধূর পরিবারের এক সদস্য জানান, সোমবার রাতে গৃহবধূ সংসারের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য পাশের দোকানে যাচ্ছিলেন। রাত ৯টার দিকে তিনি দোকান থেকে কিছুটা দূরে বাঁশবাগানের কাছে পৌঁছান। এ সময়ে প্রজিত পেছনের দিক থেকে তাকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করতে থাকেন। নিজেকে বাঁচাতে ওই গৃহবধূ প্রজিতের গালে সজোরে চড় মারেন। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর তিনি তাকে উপর্যুপরি লাথি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে প্রজিত মাটি থেকে উঠে দৌঁড়ে পালিয়ে যান। এর প্রায় এক ঘন্টা পরে প্রজিত স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রকাশ বিশ^াসসহ কয়েক ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে ওই গৃহবধূর বাড়িতে ক্ষমা চাইতে যান। ঘরের বারান্দায় ওঠার সাথে সাথে ওই গৃহবধূ প্রজিতকে কয়েকটি লাথি মারেন। এতে তিনি বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যান। পরে তিনি গৃহবধূর কাছে ক্ষমা চান।
তিনি বলেন,‘এ ঘটনায় মামলা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ায় মামলা করিনি।’
এ ব্যপারে প্রজিত বিশ্বাস ওরফে বুলেট মোবাইল ফোনে বলেন,‘আমি এখন গাড়িতে আছি, পরে আমি এ ব্যাপারে আপনার সাথে কথা বলবো।’ এর পর তিনি মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন। পরে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি লাইন কেটে দেন।
সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, অন্ধকারে ওই গৃহবধূর শরীরের সাথে প্রজিতের শরীরে ঠুল (ঘষা) লেগেছিলো। পরে একটা মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।