অভয়নগরে পল্লীতে গরু-ছাগলের অবৈধ খড় বসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোটার-অভয়নগর উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামে(গুচ্ছ গ্রাম) এক মহিলা অবৈধ গরু-ছাগলের খড় বসিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানায়, উক্ত গ্রামের ফাতেমা বেগম ৭/৮ বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খড়ের ইজারা গ্রহন করেন। নিয়ম মোতাবেক এক বছর পর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদ খড়ের ইজরা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ফাতেমা বেগম লোক চক্ষুর অন্তরালে খড়ের কার্যক্রম চালাতে থাকে। এখন প্রতিনিয়ত এলাকার লোকজন তার খড়ে গরু -ছাগল নিয়ে আসে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, খড়ে গরু প্রতি ৩শ টাকা এবং ছাগল প্রতি ২শ টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের দিনমজুর নজরুল শিকদারের ৫টি ছাগলে প্রতিবেশীর আজিম শেখের সবজি খেয়ে সাবাড় করে। এ সময়ে আজিম শেখ ছাগল গুলো ধরে ফতেমা বেগমের খড়ে নিয়ে যায়। পরে নজরুল শিকদার ছাগল আনতে গেলে ছাগল প্রতি দুইশ টাকা দাবি করে। এ সময়ে নজরুল শিকদার স্থানীয় লোকদের সহায়তায় খোজ খবর নিয়ে জানতে পারেন খড়ের বৈধতা নেই। এ ব্যপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মহাম্মদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফতেমা বেগম অবৈধ ভাবে খড় বসিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ঘটনাটি জানতে পেরে আমি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। এ ব্যপারে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খড়ের মালিক ফতেমা বেগম জানান ৭/৮ বছর আগে খড়টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা নিয়ে এখনো চালিয়ে যাচ্ছি। আমি কোন অবৈধ খড়ের ব্যবসা করি না।