Type to search

অভয়নগরে দীন মজুরের জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ

অভয়নগর

অভয়নগরে দীন মজুরের জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ

অভয়নগর প্রতিনিধি :

যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাগদহ মৌজায় অবস্থিত এক অসহায় দীন মজুরের জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। দীন মজুর ওই ব্যক্তির নাম নাসির উদ্দীন গাজী (৭০)। তিনি উপজেলার বাগদহ গ্রামে বসবাস করেন।
জানা গেছে, নাসির উদ্দীন গাজীর পিতা মোজের আলী গাজী মৃত্যুর আগে ওই মৌজায় অবস্থিত এসএ ১৫০৩ ও ১৫০৫ নং দাগের ৬৪.৫ শতাংশ জমি চার ছেলে বছির উদ্দীন, নাসির উদ্দিন ,হামিদ আলী ও কেসমত আলীর নামে হেবানামা দলিল মূলে দখল হস্তান্তর করেন।
অভিযুক্ত প্রতিবেশি মৃত কওছার আলীর ছেলে আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই জমি থেকে বছির উদ্দীনের অংশীয় ১৬ শতাংশ জমি তার কাছে বিক্রি করেছেন। কওছার আলীর এ দাবি বছির উদ্দীনের ছেলেরা অস্বীকার করেন। নাসির উদ্দীন মোল্যা ৪/ ৫ বছর আগে তার দখলিয় জমিতে বাড়ি ঘর নির্মণ করতে শুরু করলে কওছার আলী গাজী তাতে বাঁধা দেন। সেই থেকে নাসির উদ্দীন গাজী ওই জমিতে ফলজ ও বনজ গাছপালা রোপন করে তা ভোগ দখল করে আসছেন।
প্রতিপক্ষ কওছার আলী মোল্যার ছেলে আজিজুর রহমান গত ১০ ফেব্রæয়ারী থানায় অভিযোগ করেন যে, তার জমি থেকে নাসির উদ্দিন গাজী একটি মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছেন যার মূল্য প্রায় দুই হাজার পাঁচশত টাকা। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার অফিসার ইনচার্য বিষয়টি তদন্ত করার জন্য স্থানীয় গাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পের সহকারি ইনচার্য মিরাজ হোসেন এর ওপর নির্দেশ দেন। পুলিশ কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন জানান, জমিটি দীর্ঘদিন যাবত নাসির উদ্দীন গাজী ভোগ দখল করে আসছেন। এর মধ্যে কয়েক মাস আগে কওছার আলী ম্যোল্যা জোর করে জমিটিতে বেড়া দিয়েছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যর উপর দায়িত্ব দিয়েছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কওছার আলী মোল্যার ছেলে আজিজুর রহমান জানান, আমি বছির উদ্দীনের দখলিয় জমি ক্রয় করেছি। ওনি মারাা গেছেন। ওই জমি নাসির উদ্দীন ভোগ দখল করছেন। এ নিয়ে অনেক শালিস মিটিং হয়েছে। কিন্তু ওরা জমি ছাড়ছে না।
মৃত বছির উদ্দীনের ছেলে আজিবর গাজী বলেন, ‘আমার পিতা জমি বিক্রি করেছে তার কোন সঠিক দলিল ওরা দেখাতে পারেনি। ৩৭ বছর পর একটি ভুয়া দলিল হাজির করে কওছার ম্যোল্যা জমি দাবি করছে। আর কওছার মোল্যার ছেলে যে জমি দখল করার চেষ্টা করছেন তা আমার চাচা নাসির গাজীর ভোগদখলীয় জমি। তাছাড়া আমাদের সমুদয় জমি হাল জরিপের সময় ভুলবসত সরকারের ১ এর ১ খতিয়ানের খ শাখায় রেকর্ড হয়েছে। আমরা রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা করেছি। ওরা তাতেও আমাদের বাঁধা দিচ্ছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্য একেএম শামীম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি মিমাংসার জন্য গাজীপুর ক্যাম্পের সহকারি ইনচার্য মিরাজ হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছি। মিরাজ হোসেন আমাকে আপডেট কোন তথ্য দেয়নি।