Type to search

অভয়নগরে জনসচেতনার অভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে না

অভয়নগর

অভয়নগরে জনসচেতনার অভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে না

স্টাফ রিপোর্টার-যশোরের অভয়নগর উপজেলা সদর, শিল্প বাণিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ায় বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, লকডাউনের মধ্যে ও চলছে যাত্রী বোঝাই ইজি বাইক, ইজি ভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি, মটর সাইকেল চায়ের দোকান, খাবার হোটেল,কাঁচা মালের দোকানের পাশাপাশি সকল ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দোকান।
বাজারে জুতা. স্যান্ডেল ও কাপড়ের দোকানীরা দোকান বন্ধ করে তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে বসে থাকে। খরিদার এলে দোকান খুলে মাল বিক্রি করে আবার দোকান বন্ধ রাখে । সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলে এসব দোকান পাটে চুরি গোপনে কেনাবেচা। কেনাবেচার সময় মানা হয় না সামাজিক দূরাত্ব।
এ অবস্থায় সচেতন মহল শংকিত হয়ে পড়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে ঘরে থাকলে কোভিট-১৯ রোগ এড়ানো সম্ভাব। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) লকডাউন পালনের জন্য কঠোর অবস্থানে আছেন। তারা লকডাউন অমান্যকারীদের প্রতিদিন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করছেন। কিন্তু লোকজন প্রশাসনের নজর এড়িয়ে হরহামেশা ঘুরা ঘুরি করছে। চায়ের দোকানে আড্ডা করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দোকানদার বলেন. প্রশাসন বেলা দুইটা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য কেনাকাটার সময়সীমা বেধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে কিছ’ অন্যান্য দোকানেও কেনাকাটা চলছে। দোকানীরা অভাবের তাড়নায় লকডাউন মানতে পারছে না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ বৃহস্পতিবার ১৪টি দোকানে ও তিনটি মটর সাইকেলে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। এ ছাড়া আমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় প্রতিদিন পৃথক অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধমে হাজার হাজার টাকা জরিমানা করছি। কিন্তু লোকজন যেন মানছে না। তিনি বলেন, একটি চায়ের দোকানে তিন দিন জরিমানা করেছি। তার পরেও সে চা বিক্রি করছে। জানতে চাইলাম জরিমানা করার পরেও কেন আপিন দোকান খোলেন? প্রতি উত্তরে সে জানালো, দোকানে প্রতি সপ্তাহে আয় হয় ১০ হাজার টাকা, সপ্তাহে ১ হাজার টাকা জরিমানা দিলেও নয় হাজার টাকা আয় থাকে। যে কারনে দোকান চালানোর চেষ্টা করে সে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জনগন নিজ থেকে সচেতন না হলে আইন করে লকডউন মানানো কষ্টকর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *