অভয়নগরে চোরের ছেলের হাসুয়ার কোপে পাঁচজন জখম
- অভয়নগরে চোরের ছেলের হাসুয়ার কোপে পাঁচজন জখম
নওয়াপাড়া অফিস
অভয়নগর উপজেলার ধোপাদি(দক্ষিণপাড়া) গ্রামে এলাকার এক ছিচকে চোরকে রক্ষা করতে তার ছেলের হাসুয়ার কোপে পাাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ ওই গ্রামের কথিত ছিচকে চোর আতিয়ার রহমান(৫৮) এলাকার অনেকের স্্যালো মেশিন , ক্ষেত খামারের ফসল ও মাছ চুরি আসছিলো। গত বৃহস্পতিবার সে নিজের ঘেরের সাথে পাশের একটি পুকুরে সুড়ঙ্গ কেটে মাছ ধরাকালিন হাতে নাতে ধরার পড়ে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা ওই দিন রাত ১০ টায় স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বসায়। সালিশে সে হাজির না হওয়ায় ৫ থেকে ৭ জন যুবক আতিয়ার রহমানকে ডাকতে আসে। এ সময় কোন উত্তেজনা ছাড়াই আতিয়ার রহমানের ছেলে মামুন হোসেন(১৯) হাসুয়া নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। মামুনের হাসুয়ার কোপে ৫ জন যুবক আহত হয়।
আহতরা হলেন, গ্রামের কওছার আলীর ছেলে জসীম উদ্দীন(৩৫), নাসির উদ্দীনের ছেলে আল আমিন(২৮), জিহাদ আলীর ছেলে রিয়াজ ইদ্দীন(১৮), মৃত আবু বক্কর এর ছেলে জাকির হোসেন(৫০) ও জালাল গাজীর ছেলে আল আমিন(৩০)। আহতের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে জসীম উদ্দীনের অবস্থা গুরুতর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত জসীম উদ্দীনের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আতিয়ার রহমান এলাকার একজন ছিচকে চোর, সে অনেক লোকের ক্ষেতের স্যলোম্যশিন, ফসল সহ নানা কিছু চুরি করে। সে বেশ কিছুদিন ধরে সুড়ঙ্গ কেটে তাদের পুকুকের মাছ তুলে নিজের ঘেরে নিয়ে ধরে হাজার হাজার টাকা বিক্রি করে আসছিলো। এ ঘটনা হাতে নাতে ধরা পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে সালিশ ডাকা হয়। সালিশে আতিয়ার রহমান হাজির না হওয়ায় তাকে কয়েক জন ডাকতে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কোন উস্কানি ছাড়া আতিয়ার রহমানের ছেলে মামুন হোসেন হাসুয়া দিয়ে ৫ জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই হুমায়ূন কবির মন্টু বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলায় তিন জনকে আসামী করা হয়েছে। প্রধান আসামী মামুন হোসেনকে গ্রেফতারে জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।