অভয়নগরে এ সি ল্যান্ড মার্তৃত্বকালিন ছুটিতে; দেড় মাস জামজারি বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার-
অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মার্তৃত্বকালিন ছুটিতে থাকায় দেড় মাস যাবৎ জমিজমার নামজারি বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ্য দিন বন্ধ থাকায় জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্র জানা গেছে, জমির নামজারির জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর তিনি বিষয়টি তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন দিতে সংশিষ্ট পৌর বা ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে পাঠান। পৌর বা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন এবং মতামত পাওয়ার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শুনানীর দিস ধার্য করেন। শুনানির পর তিনি নামজারি অনুমোদন করেন। সূত্র জানায়, অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাদিয়া আফরিন গত ২ জুলাই মাতৃত্বকালিন ছুুটিতে যান। এরপর জমির নামজারির দায়িত্ব পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুজ্জামান। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি জমির নামজারির আবেদন গ্রহণ, শুনানি এবং নামজারি অনুমোদন করছেন না। সূত্র জানায়, গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে ই-নামজারি শুরু হয়েছে। কিন্তু এর দুইদিন পর গত ৩ জুলাই সার্ভার ডাউন হয়ে পড়ায় সারাদেশে নামজারি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ৪ আগস্ট থেকে সার্ভার ঠিক হয়। শুরু হয় নামজারি। কিন্তু অভয়নগর উপজেলায় এখনও পর্যন্ত কোনো নামজারি শুরু করা হয়নি। সূত্র জানায়, নামজারি বন্ধ থাকায় জমি হস্তান্তরে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। সরকার রাজস্ব আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের সোহাগ গাজী তাঁর ৮ শতক জমির জন্য নামজারির আবেদন করেছেন। গত ৮ জুলাই তাঁর শুনানি নিয়েছেন উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের কানুনগো। কিন্তু ইউএনও নামজারি অনুমোদন না করায় তিনি নামজারি পরচা পাননি। তিনি বলেন,‘জমি বিক্রি করবো বলে নামজারি করতে দিয়েছি। কিন্তু অনেকদিন হয়ে গেলো এখনও পর্যন্ত পরচা হাতে পাইনি। মাঝেমধ্যে অফিসে যেয়ে খোঁজ নিচ্ছি। কিন্তু কবে পরচা পাবো তা কেউ বলতে পারছেন না।’
গুয়াখোলা গ্রামের নারগিস আক্তার বলেন,‘কানুনগো গত ৮ জুলাই আমার শুনানি নিয়েছেন। কিন্তু পরচা দিচ্ছেন না। খুব ঝামেলায় আছি।’
অভয়নগর উপজেলা সহাকারী কর্মকর্তার(ভূমি) দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহীনুজ্জামান বলেন,‘সফটয়ারের সমস্যা ছিল তাই নামজারি হয়নি। দুই একদিনের মধ্যে নামজারি শুরু হবে।’