Type to search

অভিশপ্ত ভবদহ

অভয়নগর

অভিশপ্ত ভবদহ

আব্দুল্লাহ সুমন –

চারিদিকে থৈ-থৈ পানি আর পানি। টেকা নদীর দুই পাশে সারিবদ্ধ দাড়িয়ে রয়েছে কয়েকটি গাছ। ওই গাছ দেখে সাবেক নদীর নমুনা খুজে পাওয়া যায়। কে বলবে এখানে এক সময়ে খর স্রোতধারার নদী ছিলো। যে নদী দিয়ে যশোর সহ দেশের উত্তোর অঞ্চলের বৃষ্ঠির পানি নিষ্কাশিত হতো। এ দৃশ্য যশোরের অভিশপ্ত ভবদহ অঞ্চলের। জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে নদী। নাব্যতা হারিয়ে প্রায় ২শ গ্রাম জলে ডুবে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪০/ ৪৫টি গ্রাম ডুবে গেছে।

, যশোর ও খুলনার ৩৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকার ১০ লাখ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার নাম ভবদহ। এ সমস্যা সমাধানের নামে বহু প্রজেক্ট গ্রহণ করা হলেও তেমন কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ভবদহ স্লুইসগেটের ২১ কপাটের মধ্যে ১৮টি কপাট পলি জমে বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়দের ধারণা, দ্রুত সংস্কার করা না হলে প্রতিবারের মতো এবারের বর্ষায় ভবদহ অঞ্চল তলিয়ে যাবে।

 

ওই অঞ্চলের বালিধা, পাঁচাকড়ি, বাজেকুলটিয়া, মশিয়াহাটি, হাটগাছা, সুজাতপুর, ডুমরতলা, লখাইডাঙ্গা ও কপালিয়াসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখে গেছে গ্রামের অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এখন কেউ মারা গেলে তাকে কবর দেওয়ার ও জায়গা নেই এলাকায়।

 

 

 

পলি পড়ে এই অঞ্চলের মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী নাব্যতা হারিয়েছে। জোয়ারের সময় হাঁটুপানি হলেও ভাটার সময় পুরোটাই শুকিয়ে যায়। এ কারণে এলাকাবাসীকে আবারও ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ ছাড়া, অতিরিক্ত বর্ষায় এ অঞ্চলের তিনটি উপজেলার ১০ লক্ষাধিক মানুষ জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়ছে।

 

ভবদহ পানি নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটির আহববায়ক আলহাজ্ব এনামুল হক বাবুল বলেন, ‘জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি আস্তে আস্তে ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে। বাড়িতে পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।’