Type to search

অভয়নগরে বাড়ির পাশের খাল থেকে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার

অভয়নগর

অভয়নগরে বাড়ির পাশের খাল থেকে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার

  • অভয়নগর প্রতিনিধি

    যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বাড়ির পাশে খাল পাড় থেকে শুক্রবার সকালে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের রামনগর গ্রাম এঘটনা ঘটে।

    ওই তরুণীর নাম মিম খাতুন(২০)। তিনি উপজেলার রামনগর গ্রামের ইয়াসিন মোল্যার মেয়ে।

    মিম খাতুনের স্বামীর নাম রমজান আলী। তাঁর বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার
    সিলুমপুর গ্রামে। বিয়ের পর থেকে মিম উপজেলার রামনগর গ্রামের বাবার বাড়িতে
    থাকতেন। তাঁর ১১ মাস বয়সের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

    এলাকাবাসীদের কয়েকজন জানান, আজ সকালে রামনগর গ্রামের দুটি শিশু
    আমতলা-চন্দ্রপুর সড়কের পাশে আমড়া কুড়াতে যায়। এ সময় তারা খালের পাড়ে এক
    জোড়া স্যান্ডেল দেখতে পায়। আমড়া না কুড়িয়ে সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে এসে
    তারা বিষয়টি বাড়ির লোকজনদের জানায়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গ্রামের কয়েক
    ব্যক্তি সেখানে যেয়ে ওয়াপদা খালের মধ্যে মিম খাতুনের মরদেহ পড়ে থাকতে
    দেখেন। তাঁর হাঁটু থেকে মাথা খালের পানির মধ্যে নিমজ্জিত এবং হাঁটু থেকে
    পা খালপাড়ের মাটিতে ছিল। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে অভয়নগর
    থানা এবং উপজেলার আমতলা ও সোনাতলা পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনস্থলে
    যায়। সকাল ১১টার দিকে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

    মিম খাতুনের চাচা এনামুল মোল্যা জানান, মিমের মা বেঁচে নেই। তিনি বাবার
    বাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মিম তাঁর বাবা ইয়াসিন
    মোল্যাকে ভাত খেতে দেন। ভাত থেয়ে ইয়াসিন মোল্যা পাশের বিলে মাছ ধরতে যান।
    এরপর মিম তাঁর শিশুসন্তানকে নিয়ে বাড়ির এক কক্ষে এবং তাঁর ছোট দুই ভাই
    অপর কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে মিমকে আর পাওয়া
    যায়নি। দুই শিশু আমড়া কুড়াতে যেয়ে খালের পাড়ে মিমের স্যান্ডেল দেখতে পেয়ে
    বাড়িতে এসে জানায়। এরপর আমরা যেয়ে মিমের হাঁটু থেকে মাথা ওয়াপদা খালের
    পানির মধ্যে এবং হাঁটু থেকে পা খালের পাড়ের মাটিতে দেখতে পেয়েছি।

    তিনি জানান, তাঁর গলার বাম পাশে দুটি কালচে দাগ এবং মুখের চোয়ালে হালকা
    দাগ রয়েছে। কীভাবে সে মারা গেছে কিছুই বুঝতে পারছি না।

    অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, মিম
    খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর ২৫০
    শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

    ওসি বলেন, তাঁর শরীরের বাইরে অংশে জখমের দৃশ্যমান কোনো চিহ্ন পাওয়া
    যায়নি। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে জানা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন
    পাওয়ার কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনগগত ব্যবস্থা
    প্রক্রিয়াধীন।