
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫ , ৬.৩০ পিএ
বিনা উসকানিতে গত ১৩ জুন রাতে ইরানে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। উভয় পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে শত শত মিসাইল ছোড়ার পাশাপাশি নিয়মিত ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যা গড়িয়েছে অষ্টম দিনে। এ অবস্থায় ‘যুদ্ধ’ বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
ইউরোপীয় দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে জেনেভা রওনা হওয়ার আগে শুক্রবার (২০ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএকে তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তার দেশ আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসবে না।
আব্বাস আরাঘচি বলেন, আমেরিকানরা আলোচনা চায় এবং বেশ কয়েকবার বার্তা পাঠিয়েছে। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে ‘আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া’ পর্যন্ত আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। এই অপরাধের অংশীদার হওয়ায় আমেরিকার সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা নেই।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি, তারপর অন্যান্য দেশ নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখবে বলেই আমার মনে হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এতে হতাহত কম হলেও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইরানের হামলার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ইহুদিবাদীরা। দুই দেশের মধ্যে সংঘাত এখনও চলমান রয়েছে।
সূত্র আর টিভি