সোমবার (১৪ জুলাই) ভোরে হল চত্বর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সঞ্জয়ের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়।
জগন্নাথ হলের কর্মচারী মানিক কুমার দাস জানান, ভোরে দারোয়ান ফোন করে জানান যে, হলের ভেতরের রাস্তার পাশে একজন পড়ে আছে। তিনি দ্রুত সেখানে গিয়ে অন্যান্যদের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় সঞ্জয়কে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবাশীষ পাল জানান, আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে এক ক্লিনার কাজ করার সময় ওপর থেকে কিছু পড়ার শব্দ পান। কাছে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে দারোয়ান জানালে দ্রুত তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে নিহত শিক্ষার্থীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ তার পকেট থেকে নৃবিজ্ঞান বিভাগের একটি প্রশ্নপত্র উদ্ধার করে। সেখান থেকে সহপাঠীদের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
হল কর্তৃপক্ষ জানায়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে সঞ্জয় আজ ভোর ৪টা ১০ মিনিটে হলের ছাদে ওঠেন। তবে তিনি দুর্ঘটনাবশত পড়ে গেছেন, নাকি নিজে লাফ দিয়েছেন—সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা গেছে, সঞ্জয় কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং গত দুই দিন ধরে হলে ছিলেন না।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি শাহবাগ থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
সূত্র : রাইজিং নিউজ
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.