
তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী মোছাঃ জাহানারা বেগম গংকে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই জমি বেদখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি ২০২১ সালে গৌরীপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিবাদীগণের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। লিখিত বক্তব্যে নীলাঞ্জনা আরও জানান, পিতার চিকিৎসা ও নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে বাধ্য হয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট জমি গৌরীপুরের “৯১ বন্ধু সমিতি”র নিকট বিক্রি করেন। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর জমি মাপতে গেলে বিবাদীরা এসে বাধা দেয়। এমনকি পরে ওই জমিতে স্থাপিত মালিকানা সংক্রান্ত সাইনবোর্ড রাতের আঁধারে খুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি, বাবা অসুস্থ। প্রভাবশালী বিবাদীগণের হুমকির কারণে আমরা ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
নীলাঞ্জনা সরকার শান্তনা আরও জানান, বিষয়টি তিনি ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার অফিসার ইনচার্জ, সেনা ক্যাম্প ইনচার্জ ও গৌরীপুর পৌর প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
তিনি প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানান, আমাদের সংখ্যালঘু পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক এবং আমার বৈধ জমি দখলের অপচেষ্টা রোধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
অভিযোগের ব্যাপারে বিবাদী পক্ষ বলেন, বিষয়টি কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। মাপামাপি করে নিজ নিজ জায়গা উভয় পক্ষ বুঝে নিবে, এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আলোচনায় অভিযোগকারীর পরিবার, ৯১ বন্ধু সমিতির লোকজনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ কেন তাঁরা অভিযোগ দিলেন ও সংবাদ সম্মেলন করলেন, বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ দিদারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।