
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ঃ
যশোরের চৌগাছায় জালিয়াতির মাধ্যমে প্রচেষ্টা ইটভাটা দখল, নাম পরিবর্তন লুটপাট-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রচেষ্টা ভাটার মূল মালিক পক্ষ। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রেসক্লাব চৌগাছা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভাটার মূল মালিকপক্ষ দাবী করে চৌগাছা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা আলাউদ্দীন ও সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা জানান, উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের কমলাপুর মোড়ে ২০০৮ সাল থেকে ২০১২সাল পর্যন্ত ড. মাওলানা আলাউদ্দীন, মাওলানা আব্দুল লতিফ ও হাফেজ তোফায়েল আহমেদ ছিলেন প্রচেষ্টাভাটার যৌথ মালিক। তখন তোফায়েল আহমেদের ছেলে মাহবুবুর রহমান সেখানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালে ফ্যাসিস্ট পতিত সরকারের চক্রান্তে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় মাওলানা আলাউদ্দীন ও মাওলানা আব্দুল লতিফ কারাবন্দি হন। এ সুযোগ নিয়ে তোফায়েল আহমেদ ও তার ছেলে মাহবুবুর রহমান আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় জালিয়াতির মাধ্যমে ভাটাটি দখল করে এইচ এম ব্রিকস নাম করণকরা হয়। পরে কাগজপত্র ছেড়া-কাটা করে প্রচেষ্টা ব্রিকস-এর নাম পরিবর্তন করা হয়। ভাটার সাইনবোর্ড, দেয়াল লিখন থেকে শুরু করে বিল-ভাউচারসহ সব কাগজপত্রও নতুন নামে এইচ এম ব্রিকস তৈরি করা হয়। এ সময় প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি, এমনকি থানায় অভিযোগও গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি করেন তাঁরা।
পরে ওই ভাটার সঙ্গে উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামের সোলাইমান খানের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম রসুলকে অংশীদার করেন মাহবুবুর রহমান। তার নেতৃত্বে আবার ভাটার নাম পরিবর্তন করে সানি ব্রিকস রাখা হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত প্রচেষ্টা ভাটার মূল মালিকরা কোনো আয়-ব্যয়ের হিসাব পাননি। ড. মাওলানা আলাউদ্দীন অভিযোগ করেন, এই দখল ও প্রতারণার মূল হোতা মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগী গোলাম রসুল। বহুবার মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও তারা কোনো সমাধানে আসেননি। মীমাংসার কথা বললে বিভিন্ন সময় স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে সময় ক্ষেপণকরে আসছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তাদের প্রচেষ্টা ভাটার মালিকানা ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আসু-হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় চৌগাছা কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ, ড. মাওলানা আলাউদ্দীনের ছেলে কুতুবউদ্দীন রাসেলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য বাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।