
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় খালে পাওয়া অজ্ঞাত পরিচয় সেই মরদেহের সন্ধান মিলেছে। তার নাম সুমন মোল্যা (১৫) সে উপজেলার লাহুড়িয়া ডহরপাড়া গ্রামের বিল্লাল মোল্যার ছেলে। পেশায় অটোভ্যান চালক ছিল।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার কামঠানা বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনরা মরদেহটি দেখে পরিচয় শনাক্ত করেন।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে অটোভ্যান চালানোর উদ্দেশে বের হয় সুমন মোল্যা। এদিন রাতে সুমন লাহুড়িয়া রাজাপুর এলাকার সজিব নামে একজনকে ফোন করেন, তবে তার কথা শুনতে পারেনি সজিব। এদিন রাতে সুমন বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করেন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে শুক্রবার (২২ আগস্ট) লোহাগড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ওইদিন সুমনের চালিত ভ্যানটি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজের দুইদিন পর রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে লোহাগড়া উপজেলার কামঠানা বেড়িবাঁধ এলাকার একটি খালে বেলায়েত নামে এক ব্যক্তির পাটের জাগ হারিয়ে গেলে তিনি খুঁজতে বের হন। পাটের জাগ খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে অজ্ঞাত পরিচয় এক ছেলের মরদেহ দেখতে পান তিনি। পরে আশপাশের লোকজনকে জানালে স্থানীয় লোকজন লোহাগড়া থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এদিন সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমন নামে ওই কিশোরের মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম সুমন মোল্যা, বাড়ি লাহুড়িয়ার ডহরপাড়া গ্রামে। সে পেশায় অটোভ্যান চালক। নিহতের স্বজনরা মরদেহ শন্তাক্ত করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।