
Al
স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের অভয়নগরে জমি জমা সংক্রান্ত পূর্বের বিরোধে প্রতিপক্ষের বাগানের মূল্যবান গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের কোটা গ্রামে। ভুক্তভোগী মোনজেল মোল্ল্যা (৬৫) ওই গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী মোল্লার ছেলে। গত ২১ মে ২০২৫ তারিখ সকাল নয়টায় সেই জমিতে থাকা অধিকাংশ গাছ কেটে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অভয়নগর থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, শরিয়ত উল্লাহ মোল্ল্যা (৭০) হাসান মোল্ল্যা(৫৫) পিতা মৃত মোকছেদ আলী মোল্ল্যা, শরিফুল মোল্ল্যা পিতা শরিয়ত উল্লাহ, মনিরুল মোল্ল্যা পিতা আলতাফ মোল্ল্যা, মনিরুল বিশ্বাস পিতা এজাহার বিশ্বাস সকলে কোটা৷ ও সমষপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় উপজেলার কোটা মৌজার ১৪০৩ খতিয়ানের ৫৩৪৯ দাগের ২৯ শতাংশ জমি মোনজেল মোল্ল্যা পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া ভোগ দখল পরিচালনা করে আসছিলেন। সেই জমিতে তিনি নানা প্রজাতের গাছ রোপন করেন।
এক সময় মোনজেল মোল্ল্যার নগদ অর্থের প্রয়োজন দেখা দিলে তিনি বিবাদী শরিয়ত উল্লাহ মোল্ল্যা ও হাসান মোল্ল্যার নিকট ২৫ শতাংশ জমি বিক্রয় করে। সেখানে থাকা অবশিষ্ট ৪ শতাংশ জমির উপরে নানা প্রজাতির মূল্যবান গাছ ছিলো, প্রতিপক্ষ সেই গাছ কেটে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে মোনজেল মোল্ল্যা বলেন, আমি দুই বার স্টক করেছি, আমার একমাত্র ছেলে সেও অসুস্থ, আমার স্ত্রীর একটা চোখ অন্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এজন্য ভেবে ছিলাম গাছ গুলো বিক্রি করে নিজের ও পরিবারের চিকিৎসা করবো । কিন্তু প্রতিপক্ষ অন্যায় ভাবে আমার গাছ গুলো কেটে নিয়ে গেছে। এখন অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা করাতে পারছি না। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ করলে তা তদন্তের দায়িত্ব পায় গাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেননি।
ঘটনার বিষয়ে বিবাদী মনিরুল মোল্ল্যার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোনজেল মোল্ল্যা আমার চাচা এটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। চাচা তার ভাগের জমি আমাদের কাছে বিক্রি করেছে। এখানে তিনি যে জমি দাবি করছে তা আমার ফুফুর ভাগের জমি। তবে গাছ গুলো মোনজেল চাচার লাগানো বলে তিনি শিকার করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাজঘাট গাজীপুর ক্যাম্পের আইসির মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।