
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর প্রথম সূর্যোদয়। এ যেন বহু বছর অন্ধকারের পর সূর্যের দেখা। তাইতো তেহরানের মানুষ যে যার মতো নতুন আলোয় উদযাপনে ব্যস্ত।
বুধবার (২৫ জুন) আলজাজিরার প্রতিনিধি তেহরানের পরিস্থিতি বর্ণনা করেন এভাবে, ‘আজ আরেকটি দিন এবং তেহরান যেন আজ আরেকটি নতুন শহর। অনেকে তাদের বাড়িতে, দোকানে ফিরতে শুরু করেছে। দোকানগুলো খুলতে শুরু করেছে। রেস্তোরাঁ, কফি শপগুলো মানুষে ভরে উঠেছে। তেহরানের কেন্দ্রস্থলে এনগেলাব স্কোয়ার বা রেভল্যুশন স্কোয়ারের মতো কিছু চত্বর যুদ্ধের অবসান উদযাপন করা মানুষে পরিপূর্ণ।’
সংবাদ সংস্থাটির বর্ণনা বলছে, এই ১২ দিনের অভিজ্ঞতা মানুষের বুকের ওপর যেন চেপে বসেছিল। তাই, তারা এখন অনেক ভালো বোধ করছে।
যুদ্ধের অবসান এবং নিরাপত্তা ফিরে আসায় তেহরানের বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারছে। তারা রাস্তায় আগের মতো অবাধে চলাচল পারছে এবং তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছে। এটাই তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইরানের জনগণের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি ইসরায়েলের শুরু করা এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য জনগণের প্রশংসা করেন।
এদিকে নতুন করে আক্রমণের ব্যাপারেও সতর্ক ইরান। দেশটি তার কড়া অবস্থান বজায় রেখেছে। যুদ্ধবিরতি ভাঙলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চূর্ণকারী জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের মুখপাত্র কর্নেল ইব্রাহিম জুলফাঘারি।
মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও অপরাধী ইহুদি শাসকগোষ্ঠীকে ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিশালী প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের ওপর আগ্রাসনের জবাবে আমাদের বাহিনী দোহার আল-উদেইদ ঘাঁটি এবং অধিকৃত ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে এরই মধ্যে তাদের একটা শিক্ষা দিয়েছে। এখন তাদের উচিত সেই শিক্ষা থেকে কিছু শেখা।
সূত্র: কালবেলা