
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় সুজন হোসেন (২৪) নামে এক কলেজ ছাত্র মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাল্যবন্ধু অরোহি রডমিস্ত্রি নান্নু (২৪) গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত সুজন উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের আন্দারকোটা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে এবং যশোর সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের ২য় বর্ষ (সম্মান) শ্রেণির ছাত্র। রডমিস্ত্রি নান্নু একই গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।
শুক্রবার রাত ৮ টা ১০ মিনিটে পাশ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার আলীশাহ গ্রামের প্রবেশ সড়কে একটি খেজুর গাছে মটরসাইকেলটি ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এশার নামাজের পর তারা নান্নুর নতুন কেনা মটরসাইকেল চড়ে আন্দারকোটা গ্রাম থেকে আলীশাহ গ্রামে যায়। পরে রাত ৮.১০ মিনিটের দিকে আলীশাহ থেকে আন্দারকোটা গ্রামে ফেরার পথে আলীশাহ গ্রামের পাকড়াতলা নামক স্থানে বেপরোয়া গতির মোটর সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি খেজুর গাছে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সুজনের মৃত্যু হয় এবং নান্নু গুরুতর আহত হয়।
মোটর সাইকেলের বিকট শব্দ শুনে আলাউদ্দীন ও ইব্রাহিমসহ গ্রামের লোকজন তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুম বিল্লাহ সুজনকে মৃত ঘোষণা এবং আহত নান্নুকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।
ডা. মাসুম বিল্লাহ বলেন নিহতের মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মাথায় আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও মাথা কেটে বা ফেটে যায় নি। তিনি আরো বলেন হাসপাতালে পৌছানোর আগেই সুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর নান্নুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
রাতে চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুন নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায়’ই নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করলে বিষয়টি সঠিক বলা যাবে। তবে রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি নিয়ে শনিবার বেলা ১১ টায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।