অভয়নগরে ভৈরব নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত
স্টাফ রির্পোটার: নওয়াপাড়া নৌ বন্দরে ভৈরব নদের অবৈধ স্থাপনার আংশিক উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লুটিএ কর্তৃপক্ষ। সোমবার ও মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ভৈরব নদের প্রবাহমান স্রোতে বাধাঁ সৃষ্টিকারি আমদানী কারকদের ওই সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
নওয়াপাড়া নৌ বন্দরের উপ পরিচালক শাহ আলম খান জানান, ২৫টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম দিনে ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরের দিন বাকি গুলোর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। আমদানীকারকেরা এখানে জাহাজ ভিড়িয়ে লং বুম স্কেভেটর দিয়ে সার, কয়লা, খাদ্যশষ্য সহ নানা পন্য খালাস করে আসছিলো। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে বিআইডøুটিএ আমলে নিয়ে এসব উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সব স্থাপনা নদের পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করছিলো। এতে নদে পলি জমে চর সৃস্টি হয়।
নওয়াপাড়া নৌ বন্দরের উপ-পরিচালক শাহ আলম মিয়া’র নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব জামিল. অভয়নগর ভুমি অফিসের কর্মচারী তরিকুল ইসলাম, যশোর পুলিশ লাইন থেকে আগত পুলিশের এস আই নজরুল ইসলাম সহ নৌ বন্দরের কর্মচারী বৃন্দ।
অভিযানের উচ্ছেদকৃত ঘাটের মধ্যে রয়েছে। সরকার ট্রেডার্স ঘাট, এস এ এন্টারপ্রাইজের ঘাট, আলম ব্রাদার্স ঘাট, ব্রাদার্স-১ ঘাট, গ্লোবঘাট, ব্রাইট ঘাট, প্রমি ঘাট, শাহাজাহান ট্রেডার্স ঘাট, মাহাবুব ব্রাদার্স ঘাট, সাইদুর রহমান ঘাট, সিরাজ মিয়া ঘাট, মালোপাড়া ঘাট, মশরহাটির সরকার ট্রেডার্স ঘাট, পরশ মিলের ৩টি ঘাট ভৈরব সেতু সংলগ্ন সাথী এন্টার প্রাইজের ২টি ঘাট।
বিআইডব্লিউটিএ’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব জামিল বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সিএস রেকর্ড অনুযায়ী নদের সীমানা নির্ধারণ করা হবে। ভৈরব নদের মজুদখালি বাাঁক থেকে আফরা ঘাট পর্যন্ত নওয়াপাড়া নদী বন্দরের সকল স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এ স্থাপনায় নদেও স্রোতে বাধাঁ পেয়ে পলি জমে চর জাগছে।