Type to search

অভয়নগরে রক্ত দিতে গিয়ে সড়কে প্রাণ গেল সুকান্তের

অন্যান্য

অভয়নগরে রক্ত দিতে গিয়ে সড়কে প্রাণ গেল সুকান্তের

নওয়াপাড়া যশোর প্রতিনিধিঃ
এক প্রসূতির সিজার হবে। তাঁর জন্য রক্ত দিতে পহেলা আগষ্টক সন্ধ্যায় খুলনায় গিয়েছিল সুকান্ত মজুমদার। খুলনা নতুন রাস্তা মোড়ে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী মটর সাইকেল  চাপায় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনা স্থলে জ্ঞান  হারান সুকান্ত মজুমদার ২৮।  সাথে থাকা ব্যাক্তি ও স্থানীয়রা দ্রুত তাকে খুলনা ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতালে ভর্তি করে,রাখা হয় আইসিইউতে। পরে শুক্রবার ভোরে সুকান্ত হেলে পড়েন মৃত্যুর কোলে।
  জানা যায় অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের সড়াডাঙ্গা গামে বসবাস করতেন তিনি। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। ৭ বছর বয়সের পর বাবা তাদের ছেড়ে থাকতেন।
 অভাবের সংসার। মা অনেক কষ্ট করে সুকান্তকে বড় করেছেন। মাত্র দুই মাস আগে সুকান্ত বিয়ে করেছে  পার্শ বর্তী গ্রামে। নতুন সংসার জীবন তাদের।
সুকান্ত কাজ করতেন নিজ এলাকার ইস্পাইডার ক্যাবল নেটওর্য়াকে।
পিতা সুনীল মজুমদার থাকেন ভারতে,  মাতাঃপবিত্রা মজুমদার ৪ শতক জাইগার উপরে একটা ঘর করে ত ৪ সদস্য নিয়ে বসবাস করতেন সুকান্ত মজুমদার ছিলেন পরিবারোর এক মাত্র কর্মক্ষম ব্যাক্তি।
মাতা পবিত্রা মজুমদার গৃহিনী,মাঠে কাজ করে তাদের বড় করেছে। দিদিমা কাজ করতেন স্থানীয় একটি কলকারখানায়, তিনি মিলে কাজ করে সুকান্তকে বড় করছে।
 সুকান্ত  পড়াশুনা করেছেন সুন্দলী এসটি স্কুল এন্ড কলেজে,সেখান থেকেই এইচ এসসি পাশ করেন। পরে সংসারের চাপে কর্ম জীবনে প্রবেশ করতে হয় তাকে, পড়া শুনা আর করা হয়নী তার।
জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি মেম্বর বিল্বব বিশ্বাস জানান ছেলেটি অনেক ভদ্র ও পর পোকারী ছিলেন,অন্যের দুঃখে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করতেন। সুকান্তকে হারিয়ে পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে।
সুকান্তের মা ছেলের এমন ভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পেরছেন না,ক্ষণে ক্ষণে জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি,সাভাবিক হলেই বলছেন নানা কথা।
লাশ বাড়িতে আসছে চারি দিকে নেমে আসে শোকের ছায়া। পরে স্থানীয় শুড়িডাঙ্গা মহাশশ্মানে শৎকর্মের জন্য আনা হয় দুপুর ১২ টায়। দূর দূরন্ত থেকে ছুটে আসে তার প্রিয় ভাজন রা। সবার মুখে একটাই কথা ছেলেটা বড্ড ভালো ছিল।