
আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় সাবেক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পশু চিকিৎসক মুক্তার আলী চালাচ্ছে রাম রাজত্ব। ক্রমাগতই ঘটনাটি ঘটে চলছে ৬নং ঝিকরগাছা ইউনিয়ন এলাকায় সরকার কতৃক নির্ধারিত ফি ৭৫টাকা এর বাহিরে গিয়ে তিনি ১২শত টাকা করে বিক্রয় করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুটে নিচ্ছে হাজার-হাজার টাকা। তিনি পদ্মপুকুর গ্রামের মৃত. নজরুল ইসলামের ছেলে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণি সম্পদ-২ অধি শাখার বিগত ০৭/০৬/২০২৩ ইং তারিখে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ৩৩.০০.০০০০.১১৮.১৫.০০৩.২১-২১৫/
ভুক্তোভোগী রয়েল/ রাফিজার পরিবারে নিকট জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, আমাদের বাড়িতে তিনি সকালে ও বিকালে এসে ২ ডোজ কৃত্রিম প্রজনন বা বীজ দিয়ে প্রতিবার ১২শ টাকা করে ২বারে ২৪শ টাকা নিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাবেক সাংবাদিক পরিচয়ধারী পশু চিকিৎস মুক্তার আলী বলেন, এগুলো কি আপনার জানার এক্তিয়ার আছে। আমাদের এই সব তথ্য নিবে পশু অফিস। ওখানে এক ম্যাডাম আছে। আপনি কতটুকু কি করতে পারেন সব আমার জানা আছে। আমি এসসিআই কোম্পানীর বীজের ডিলার। ঝিকরগাছার বুকে আমার আরও ২৭জন কর্মী আছে। বীজ দেওয়ার রেট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বীজের রেট সম্পর্কে জানতে হলে হাসপাতালে যাবেন এবং ওখানে রেটের নীতিমালা আছে ওটা তুললেই আপনি জানতে পারবেন। সরকারি বীজের দাম ৭৫টাকা আর একটা আছে ৮৫টাকা। আর বেসরকারি ভাবে ১টা বীজ কেনা পড়ে ২শ, ৩শ ৫০ ও ৯শ টাকা। আমরা ১০টাকা লাভে কর্মীদের কাছে পৌছে দি। বীজ কত বার দেওয়া লাগে সম্পর্কে তিনি বলেন, একবার। দুবার দিলে তো ডবল হয়ে যাবে। ২বার দেওয়ার কোন অপশন নেই। তার বিরুদ্ধে ২বারে ২হাজর ৪শত টাকার নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি তথ্য অস্বীকার করে বলেন, আমার জীবনে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। যদিও নিয়ে থাকি তাহলে আমি খারপ কিছু করেনি। আপনি প্রমাণ করতে পাড়লে আমি তাদের ১০গুন ফেরৎ দিবো!
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. মাসুমা আখতার বলেন, তিনি এতো টাকা কি ভাবে নিলো। সে যে কোম্পানীর হোক সরকারের নিধারিত ফি এর বাহিরে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। রেটের বাহিরে তিনি কেন এই রেট নিলো অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি