স্টাফ রিপোর্টার- অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী বাওড়ের ইজারার মেয়াদ গত ৩০ চৈত্র শেষ হয়েছে। করোনার প্রভাবে নতুন করে ইজারার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাওড়টি এখন সরকারের দখলে। নতুন ইজারা না হওয়া পর্যন্ত বাওড়ে মাছ ধরা অবৈধ। কিন্তু বাওড়ের সাবেক ইজারাদার পুড়াখালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি এ নিয়ম উপেক্ষা করে মাছ ধরছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশখ স্থানীয় মথুরাপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা গৌর সুন্দর বিশ^াস বাওড়ে মাছ ধরতে নিষেধ করে এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নেটিশ টাঙ্গিয়েছেন। নোটিশে বলা হয় নতুন করে ইজারা না হওয়া পর্যন্ত বাওড়ে কেউ মাছ ধরতে পারবে না। এ নিষেধ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, সাবেক ইজারাদার পুড়াখালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি সরকারের এ নিষেধ মানছে না। তারা করোনা মোকাবেলার জন্য সামাজিক দূরাত্ব বজায় রাখার নিয়ম উপেক্ষা করে অনেক লোক একত্রিত হয়ে বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুড়াখালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির ক্যাশিয়ার স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারনে ইজারা দেওয়ার কর্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমরা নতুর করে ইজারা গ্রহনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ভাবে আবেদন করেছি। বাওড় থেকে কিছু চারা মাছ গত দুই দিন ধরে বিক্রি করেছি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন জানে, এ জন্য সরকারের খাতে যে খাস(ইজারা) হয় তা নায়েব সাহেবকে দিয়েছি। কিন্তু আজ শুক্রবার স্থানীয় লোজজন বাওড় থেকে অনেক মাছ ধরে নিয়েছে। পরে পুলিশ দিয়ে তাদের তাড়া করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা খাস আদায়ের ভিক্তিতে এক মাসের জন্য সাবেক ইজারাদারকে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছি। সে মোতাবেক তারা মাছ ধরছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.