Type to search

৩০ বলে ৩০ রান করা খারাপ কিছু না : তামিম

খেলাধুলা

৩০ বলে ৩০ রান করা খারাপ কিছু না : তামিম

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগে এখনও পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ১৮৭ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই পাঁচ ম্যাচে ফিফটি করেছেন ১টি, স্ট্রাইকরেট ১১৬.৮৭; কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে যা খুবই সাধারণ। তার দল বরিশাল জয় পেয়েছে মাত্র এক ম্যাচে। সেদিন ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তামিম।

এছাড়া বাকি চার ম্যাচে তামিমের ইনিংসগুলো ১৫ বলে ১৫, ৩২ বলে ৩২, ৩১ বলে ৩১ ও ২১ বলে ৩২ রান। মজার বিষয় হলো, গত ৩০ নভেম্বর গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৩২ বলে ৩২ রান করে আউট হওয়ার পর তামিম বলেছিলেন, ‘৩০ বলে ৩০ রান করে আউট হওয়া পাপ।’ সেদিনের পর খেলা দুই ম্যাচেও তামিম আউট হয়েছেন ত্রিশের ঘরে। রান করেছেন যথাক্রমে ৩১ ও ৩২।

এখন তামিমের উপলব্ধি, ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩০ বলে ৩০ রানের ইনিংসগুলো খারাপ কিছু নয়। বিশেষ করে শুরুতে ২-৩ উইকেট পড়ে গেলে তখন চাপ সামাল দিতে রয়েসয়েই খেলতে হয়। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ টেনে আনেন বরিশালের সবশেষ ম্যাচের। যেদিন ১৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ২১ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তামিম, ম্যাচও হেরে যান ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে। তার মতে, সেদিন আরেকটু রয়েসয়ে খেললে হয়তো ইনিংস বড় করতে পারতেন।

রোববার দলের অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তামিম বলেন, ‘আমার রোল দেখেন, আমি বলব কোনো কিছুই যথেষ্ট নয়। এই টুর্নামেন্টে আমার ব্যাটিং যতটুকু করেছি, আমার মনে হয় আমি ভালো ব্যাটিং করেছি। শেষ ৩ ম্যাচে ৩০-৩০-৩০ (৩২, ৩১ ও ৩২) করে আউট হয়ে যাওয়া আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। বিশেষ করে যে টিমে আমি খেলছি, যেখানে আমার পারফরম্যান্সটা অনেক ম্যাটার করে, সেখানে আমি যদি ৩০ করে আউট হয়ে যাই, এটা অবশ্যই পাপ।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘অবশ্যই ৩০ রানের ইনিংসগুলো যদি আমি ৫০-৬০ করতাম, অন্তত যদি তিনটার মধ্যে যদি একটাও ফিফটি করতাম, তাহলে হয়তোবা রেজাল্ট একটু অন্যরকম হতে পারত। তবে ওভারঅল ব্যাটিং নিয়ে যদি বলি, যেভাবে আমি ব্যাটিং করতে চাই এবং ব্যাটিং করছি, এটা ঠিকই আছে। আমি বলব না যে অনেক ভালো কিছু করেছি। কিন্তু এটা খুব খারাপও নয়।’

এ সময় দলের অন্যান্যদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সের দিকে ইঙ্গিত করে তামিম বলেন, ‘আমার সঙ্গে যারা খেলছে, তারা কোন স্ট্রাইকরেটে খেলছে, এটাও তো খেয়াল রাখতে হবে। ৩০ বলে ৩০ রান করাতে আমি খারাপ কিছু দেখি না, যদি পরিস্থিতি ওরকম থাকে। যখন আমরা ১৫০ রান তাড়া করছি, ঐ সময় যদি ৩টা উইকেট পড়ে যায়, তখন ২০ বলে ৩০-৪০ রান করা কঠিন। গত ম্যাচে দেখুন, দেড়শ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করছিলাম। আবারও ৩২ রানে আউট হয়ে গেছি। এ সময় বেশি না মেরে আরেকটু সময় নিয়ে খেললে ইনিংস বড় করা যেতো।’

‘স্ট্রাইকরেট বলুন, ৩০ রান বলুন- প্রশ্ন সবসময় থাকবে, আপনারা (সংবাদমাধ্যম) সবসময়ই প্রশ্ন তুলবেন। এতে কোনো অসুবিধাও নেই। যদি আমি ৪০ বলে ৪০ করাতে দল জিতে, এটা ভালো। আমি ১৫ বলে ৪০ করে দল হারলে এটা ভালো ইনিংস হলো না। দিনশেষে কথা হল, আমার দলে আমাকে কীভাবে খেলতে হবে। স্ট্রাইকরেটের চেয়েও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল যতক্ষণ উইকেটে থাকতে পারি, যত লম্বা ইনিংস খেলতে পারি। এই দলে আমি ৩০ রান করা ভালো বিষয় না। আমি যদি ৪০-৪২ বলেও ৫০ করতাম, হয়তোবা ১০৯ রানে অলআউট না হয়ে ১৩০-১৩৫ রান হতো, বোলারদের তখন চেষ্টার সুযোগ দেওয়া যায়। ১০০-১২০ রান করে অলআউট হয়ে গেলে তো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হলো না।’

সূত্র, jagonews24.com