Type to search

১৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে বদলে যাবে চট্টগ্রাম

জেলার সংবাদ

১৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে বদলে যাবে চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের মূল শহর থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দুরত্বে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। যানজটের দুর্ভোগে ২০/৩০ মিনিটের এটুকু দুরত্ব অতিক্রম করতেই সময় লেগে যায় এক থেকে দুই ঘণ্টা। কখনো কখনো এর চেয়েও বেশি। কয়েক দশকের এই দুর্ভোগ লাঘব করবে ‘এক্সপ্রেস ওয়ে’।

চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এক্সপ্রেস ওয়ের একটি অংশ খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু। বর্তমানে সব জটিলতা নিরসন করে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মোট পিলারের সংখ্যা ৩৭৯টি। এর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ৩০০টি পিলার। ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে ৯ কিলোমিটার অংশের ঢালাইকাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।

২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের ৩২ শতাংশ ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন। সেই থেকে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ চলমান।  এক্সপ্রেসওয়েটি নগরীর লালখান বাজার থেকে শুরু হয়েছে দেওয়ানহাট, দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড, বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে সল্টগোলা ক্রসিং, সল্টগোলা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং, সিমেন্ট ক্রসিং থেকে কাঠগড়, কাঠগড় থেকে ভিআইপি রোড এবং সি-বিচ থেকে ভিআইপি রোড পর্যন্ত ভাগ করে কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পুরো এক্সপ্রেসওয়ের ৯টি এলাকায় গাড়ি ওঠানামার জন্য ২৪টি র‌্যাম্প থাকবে। এর মধ্যে টাইগারপাস এলাকায় চারটি, আগ্রাবাদে চারটি, বারিক বিল্ডিং মোড়ে দুটি, নিমতলী মোড়ে দুটি, কাস্টমস মোড়ে দুটি, সিইপিজেডে চারটি, কেইপিজেডে দুটি, কাঠগড়ে দুটি, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় দুটি র‌্যাম্প থাকবে ।