Type to search

হারের জীবন

সাহিত্য

হারের জীবন

বিলাল মাহিনী
এই তো, আমি ঠকেছি বলেইতো তুমি জিতেছো! তোমার জিতটা কি আমার হারের ফসল নয়?
জীবনের প্রতিটি ব্যর্থতা-ই একজন শিক্ষক সম।
ছাড়তে ছাড়তে একদিন এই পাথুরে ধরণী ছেড়ে যাব,
রেখে যাব জীবনের সবটুকু সঞ্চয়
বাপ দাদা আর আমার নিজেরটাও,
প্রত্যেক বস্তু যেমন দিন শেষে মূলের দিকে ফিরে যায়, তেমনি আমিও ফিরে যাব আমার প্রকৃত অস্তিত্বে।
শুধু কুঁড়িয়েছি কিছু ছেঁড়া পাতা,
অতঃপর হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছি শিমুল তুলোর মতো-
জীবনের সব দুঃখ-বেদনা, হাসি-আনন্দ, স্মৃতি।
হারানোতে এখন আর অশ্রু মুছি না
হারানোরও আর কিছু দেখি না।
ফুটপাতে পড়ে থাকা ছিন্ন পাপড়ির মতো পড়ে থাকে
আমার হাসি-আনন্দ, বেদনার অশ্রুরা
দু’ এক ফোঁটা টলমলে শিশির;
এখনো শুকায়নি অশ্রুবিন্দুকণারা,
বৃষ্টির ফোঁটারা,
চঞ্চল করুণ দৃষ্টি, পিছু ডাকে
এখনো আছে সকালের মেঘভাঙা রোদ,
গাছের ছায়া আর-
পদ্মঝিলের স্থির কালো জল,
এখনো আছে পাতিহাঁসের নরম পায়ে
গচ্ছিত সেই হারানো জীবন
সেই সুখ-দুঃখ
অদৃশ্য চোখের জল।
যে মাটি ছেড়ে যাচ্ছি –
কেয়ামত অবধি সেখানে পাওয়া যাবে তোমার-আমার পদধূলি মাখা স্মৃতিচিহ্ন।
সকাল হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেঁচে থাকার আশা করি না, সন্ধ্যা হলে সকাল পর্যন্তও না। নিজেকে সম্বলহীন মুসাফির ভাবতে ভালো লাগে। ইচ্ছে হয়, বস্ত্রহীন সুখী মানুষ হতে।
সু-সম্পর্কগুলো এমনি এমনি শেষ হয় না, শেষ হয়- অহংকার, অবিশ্বাস, অসম্মান আর বিশ্বাসঘাতকতার কারণে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *