সিনিয়র সচিব খাজা মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে নড়াইলে আ’লীগ নেতা-কর্মীদের বিবৃতি

নড়াইল প্রতিনিধি
সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে কতিথ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায়
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়ার বিরুদ্ধে গত ৫
জুলাই ‘দৈনিক কালবেলা’ পত্রিকায় “চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সচিবের নির্বাচনী
প্রচার” এবং গত ০৮ জুলাই ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকায় “নড়াইলে নির্বাচন
করতে চেয়ে এক সচিবের সভা,কী বলছে চাকরিবিধি ” শিরোনামে দু’টি প্রতিবেদন
প্রকাশিত হয়।
এদিকে,ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জুলাই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন বলে
ওঠা কতিথ অভিযোগ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা
মিয়া বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান এক আইনী
নোটিশ পাঠান।
সিনিয়র সচিব খাজা মিয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের
মাধ্যমে অপপ্রচার করা হচ্ছে দাবি করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি
দিয়েছেন নড়াইল জেলা,উপজেলা,থানা ও ইউনিয়ন আ’লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী
সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (৮ জুলাই) বিকালে কালিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ
সম্পাদক,নড়াগাতি থানা আ’লীগের সভাপতি, জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা,
পৌর ও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩০জন নেতা-কর্মীর
স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসঙ্গে নড়াইল-১ আসনের
জনগণ কর্তৃক ধিক্কিত কিছু ব্যক্তির প্ররোচনায় সিনিয়র সচিব খাজা মিয়ার
বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার করছে বলে বিষয়টিতে দলীয় প্রধান শেখ
হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে ‘চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সচিবের নির্বাচনী
প্রচার’ ও “নড়াইলে নির্বাচন করতে চেয়ে এক সচিবের সভা,কী বলছে চাকরিবিধি ”
শিরোনামে যে দু’টি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেটি সম্পূর্ণই উদ্দেশ্য
প্রণোদিত,ভিত্তিহীন ও বাস্তবতা বিবর্জিত। কারণ সচিবের এলাকায় কোন ধরণের
এবং কোন পর্যায়েই নির্বাচন না থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়
অংশ নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব খাজা মিয়া নড়াইল
জেলার বাসিন্দা। নিজ জেলার সিনিয়র সচিব হিসেবে তিনি সরকারি ছুটির দিনে
প্রায়ই নিজ এলাকা কালিয়া ও নড়াইল সফর করেন এবং স্থানীয় লোকজনের খোঁজ খবর
নিয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯-০৬-২০২৩ তারিখে ঈদ-উল-আযহা নিজ
বাড়িতে উদযাপন করেন। ঈদের পরের দিন তিনি কালিয়া ও নড়াইলের বিভিন্ন এলাকার
মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের গণমানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা
বিনিময় করেন। এ সময় তিনি যুব সমাজ ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের
চেতনাকে উজ্জীবিত করণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা
করেন। তিনি কালিয়া ও নড়াইলের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে
খোঁজ-খবর নেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা সমূহ জানতে চেষ্টা করেন এবং এলাকার
দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব হিসেবে সেগুলি যতটুকু সম্ভব সমাধানের আশ্বাস
প্রদান করেন।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ্য করা হয়, এই মুহুর্তে নড়াইল-১ আসনে জাতীয় বা
স্থানীয় পর্যায়ের কোন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়নি বা কোন ধরণের
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বর্ণিতাবস্থায়, কোন নির্বাচনী জনসভার আয়োজন,
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বা নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা প্রদান করার
বিষয়টি সম্পূর্ণ অবান্তর ও কাল্পনিক। খাজা মিয়া সরকারি উচ্চপদস্থ
কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের বা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিপক্ষে বক্তব্য
রাখার প্রশ্নই উঠে না। তার একটি বক্তব্য এডিট করে বিকৃতভাবে ”দৈনিক
কালবেলা” এর অনলাইন ভার্সণ ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও
আকারে প্রকাশ করে তার সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো
হচ্ছে। যেটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত,অনভিপ্রেত,অপ্রীতিকর ও দুঃখজনক।
তবে একথা সত্য যে, তিনি সারা বাংলাদেশের উন্নয়নের জোয়ারের তুলনায় নড়াইল-১
আসনের বেশ কিছু এলাকার নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা ও দুর্বলতার কারণে
কাক্সিক্ষত উন্নয়নের ঘাটতি রয়েছে বলে লক্ষ্য করেছেন এবং সেগুলি সমাধানের
আশ্বাস প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে আ’লীগের নেতা-কর্মী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া নড়াইলের গর্ব,নড়াইলের কৃতি সন্তান। তিনি এলাকার
উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে চলেছেন। অথচ একটি কুচক্রী মহল সিনিয়র
সচিব খাজা মিয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্ত নিঃসন্দেহে অসম্মানজনক। এতে তাঁরা
ব্যথিত, ক্ষুব্ধ এবং হতবাক। তাঁকে নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক, অবৈধ ও মানহানিকর
অপপ্রচার কোনোভাবেই কাম্য নয় জানিয়ে সিনিয়র সচিব জনাব খাজা মিয়ার
ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার যে কোন ধরণের অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট
সকলের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জ্ঞাপন করেন বিবৃতিদাতারা।
সিনিয়র সচিব খাজা মিয়া বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি
প্রদানকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কমীরা হলেন-কালিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি
এস,এম হারুনার রশীদ,নড়াগাতি থানা আ’লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন বশির, কালিয়া
উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ,
জেলা আ’লীগের সদস্য ও নড়াগাতি থানা আ’লীগের সাবেক সভাপতি মফিজুল হক, জেলা
আ’লীগের সদস্য চৈতী রাণী বিশ্বাস,কালিয়া উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ও কালিয়া পৌরসভা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, জেলা পরিষদের
সদস্য খান শাহীন সাজ্জাদ পলাশ, কালিয়া উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক ইমাদুল হক খান,কালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম
সোহাগ, কালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাইসুল ইসলাম পান্নু,
কালিয়া পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি তানবিরুল ইসলাম,নড়াগাতি ছাত্রলীগের সভাপতি
মুনজুরুল চৌধুরী, নড়াগাতি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসিম পারভেজ,
শেখ হাটী ইউপি চেয়ারম্যান ও নড়াইল সদর উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম
সম্পাদক গোলক বিশ্বাস, হামিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান পলি বেগম, বাঐসোনা ইউপি
চেয়ারম্যান এসএম চুন্নু, পাঁচগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান এস,এম সাইফুজ্জামান,
সাবেক চাঁচুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও চাঁচুড়ী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক
সিরাজুল ইসলাম হিরক,সাবেক সালামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ও কালিয়া উপজেলা
স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শামীম আহম্মেদ, সাবেক সিঙ্গা-শোলপুর ইউপি
চেয়ারম্যান মো. উজ্জল শেখ, সাবেক বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান ও নড়াইল সদর
উপজেলা আ’লীগের সদস্য ইমারুল গাজী, সাবেক জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান ও
নড়াগাতি থানা আ’লীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন চৌধুরী, মাউলী ইউনিয়ন আ’লীগের
সভাপতি আলী হায়দার মিকু প্রমুখ।