সরকারি আদেশ পেয়েও ভবদহে কিস্তি আদায় বন্ধ হয়নি

-
নওয়াপাড়া অফিস
সরকারি আদেশ পেয়েও বন্ধ হচ্ছেনা ভবদহ দুর্গত এলাকায় এনজিওদের কিস্তি আদায়। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণকারি সরকারি প্রতিষ্ঠান মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি দুর্গত মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১১ নভেম্বর এনজিওদের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে ও সহজ শর্তে নতুন করে ঋণ দিতে নির্দেশ জারি করে। কিন্তু সে আদেশ মানছেনা এনজিরা। তারা দুর্গত এলাকার লোকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে নিয়মিত ঋণের কিস্তি টাকা আদায় করছে। এ বিষয়ে এলাকার অনেক ভুক্তভোগীরা তাদের অভিয়োগ তুলে ধরেন।
পানিবন্দী অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী গ্রামের বাসিন্দা সরলা বিশ^াস বলেন, তিনি আদ দ্বীন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছে। ওই টাকা মাছের ঘেরে বিনিয়োগ করেছিলেন। ঘেরে পাড়ে সবজির চাষ করেছিলেন। ভবদহ জলাবদ্ধতায় সব ডুবেগেছে। এ অবস্থায় তিনি এনজিওর কিস্তির টাকা যোগাড় করতে পারছেনা। কিন্তু এনজিওরা তা কিছুই শুনছে না।
আদ দ্বীন এনজিওর বিরুদ্ধে তার মোত একই অভিযোগ জানালো স্থানীয় ফুলেরগাতি গ্রামের ব্রজেন বিশ^াসেন স্ত্রী অনামিকা বিশ^াস ও কানই বিশ^াস।
সুন্দলী গ্রামের তপন বিশ^াস জানান তিনি গ্রামীন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মাছের ঘেরে বিনিয়োগ করেছিলন। ঘেরের মাছ ও পাড়ের শাক সবজি সব ডুবে গেছে। কিন্তিু সব জেনেও এনজিওরা কিস্তির টাকা আদায় করছে। তারমতো একই অভিযোগ জানালো ডহর মাশিয়াহাটি গ্রামের অচিন্ত বিশ^াস, কুচলিয়া গ্রামের গোবিন্দ বিশ^াস, উত্তম কুমার মন্ডল সহ অনেকে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আদ দ্বীন এনওজির মাঠ কর্মী শিখু পাড়ে বলেন, সরকারি সংস্থার চিঠিতে কোথাও ঋণ আদায় বন্ধ রাখার কথা বলা হয়নি। যে কারনে আমি কিস্তি আদায় করছি। আদ দ্বীন এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপক আনিচুর রহমান তিনি বলেন, আমাদের কিস্তি আদায় করতে নিষেধ করা হয়নি। তাই আমরা মাঠে যাচ্ছি।
বন্ধু কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর সহকারি পরিচালক এস এম ফারুক হোসেন বলেন, আমরা সরকারি আদেশ মেনে কিস্তি আদায় বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের বিষয়টি ইউএনও মহহোদয়কে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছি।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, যে সব এনজির কিস্তি আদায় করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনী লড়াই করবো।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, সরকারি নির্দেশ না মানলে এনজিওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।