Type to search

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর তুলে দেয় পাচারকারীর হাতে

জাতীয়

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর তুলে দেয় পাচারকারীর হাতে

লালমনিরহাটে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পর তাকে নারী পাচারকারীর হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।

গ্রেফতার আসামিরা হলো- লালমনিরহাট সদর উপজেলার পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্টেডিয়ামপাড়া (দালালটারী) এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে সামসুল হোসেন বাবলু (৪২) ও একই এলাকার আবুল হোসেন সরকারের ছেলে তসলিম উদ্দিন সরকার (৪০)। ভুক্তভোগী হাতীবান্ধা উপজেলার একটি স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবেন। ভুক্তভোগীর মা সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, স্বামী ভরণপোষণ না দেওয়ায় তিনি সন্তানদের নিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে থাকেন। তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে হাফিজুল ইসলাম নামে একজন। প্রেমের এক মাস যেতে না যেতেই তাকে কেনাকাটা করে দেওয়ার কথা বলে গত ১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাটে নিয়ে যায়। সেখানে আনার পর তাকে নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য যাত্রীবাহী পরিবহন নাবিল কাউন্টারের ম্যানেজার সামসুল হোসেন বাবলুর হাতে তাকে তুলে দেয়। বাবলু স্টেডিয়ামপাড়ায় তার ভাই নুরুজ্জামানের বাসায় নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে নাবিল গাড়িতে ঢাকা পাঠায়।