শ্রমিকনেতা আলমগীর মিয়া (আইএমই) এর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন, নওয়াপাড়া’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশন বাল্কহেড শাখা নারায়ণগঞ্জ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর মিয়া (আইএমই)-এর নিঃশর্ত মুক্তিসহ নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন নওয়াপাড়া’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে।
আজ ৬ মে ২০২৩ শনিবার বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ শাখার সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশন বাল্কহেড শাখা নারায়ণগঞ্জ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর মিয়া (আইএমই)-এর নিঃশর্ত মুক্তি, বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দের নামে মুন্সীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সকল প্রকার হয়রানি বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনের নওয়াপাড়া বন্দরের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৫টায় নওয়াপাড়া কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কার্যালয়ের সামনে এসে এক পথসভা শ্রমিকনেতা রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ যশোর জেলা সভাপতি শ্রমিকনেতা আশুতোষ বিশ্বাস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ মাস্টার, অন্যতম নেতা আশরাফুল আলম মাস্টার প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন শ্রমিকনেতা নাজমুল হুসাইন।
নেতৃবৃন্দ পথসভায় বলেন, শ্রমিকনেতা আলমগীর মিয়া একজন উদ্যোগী নেতা, নৌ-যান শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সৈনিক। তার মত নেতাকে গ্রেফতার একটি নিন্দনীয় ঘটনা, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। সাথে সাথে নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিকনেতা আলমগীর মিয়া (আইএমই)-এর নিঃশর্ত মুক্তি না পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশব্যাপী আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ধর্মঘট একটি গণতান্ত্রিক অধিকার, “অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩” আইনে পরিণত হলে শ্রমিকের অধিকার আদায়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ন্যায়সঙ্গত গণতান্ত্রিক হরণ করা হবে। অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।