অপরাজেয় বাংলা ডেক্স : সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলাকে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধের পাঁচ নম্বর পোল্ডারের পশ্চিম দূর্গাবাটি এলাকায় প্রায় আশি ফুট জায়গা পাশের খোলপেটুয়া নদীতে ধসে গেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নদীতে ভাটা শুরু হওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে দিনের শেষ ভাটায় মারাত্বক কিছু ঘটনার আশংকা থেকে পাউবো’র সহায়তা নিয়ে স্থানীয়রা সকাল থেকে ভাঙন কবলিত অংশের বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার সকালে পাশের খোলপেটুয়া নদীতে ভাটা শুরু হলে আকস্মিকভাবে পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকায় প্রায় আশি ফুট জায়গাজুড়ে বাঁধের উপরিভাগ নদীতে বিলীন হয়। হঠাৎ প্রচন্ড শব্দে বিশাল জায়গাজুড়ে বাঁধ নদীতে বিলীনের ঘটনায় এসময় স্থানীয়দের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
ভাঙন কবলিত অংশের পাশে বসবাসরত নীলকান্ত রপ্তান জানান, ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই বাঁধ নদীতে ধসে যাওয়ায় স্থানীয়রা আতংকিত হয়ে পড়ে। বাড়ি ঘর ছেড়ে অনেকে রাস্তায় এসে আশ্রয় নেয়।
তিনি বলেন, বাঁধের উপরিভাগ নদীতে চলে যাওয়ায় রাতের ভাটায় বাঁধের গোড়ার অংশ দেবে যাওয়ার সম্ভবনা জেগেছে। এমতাবস্থায় তার মত আরও অনেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিংস্ব হওয়ার শংকায় পড়েছে।
বাসুদেব মণ্ডল নামের স্থানীয় একজন জানান, সকালের ভাটায় বাঁধের উপরের অংশ নদীতে বিলীন হলেও এখনও লোকারয়ে পানি প্রবেশ করেনি। কিন্তু রাতের ভাটায় বাকি অংশ নদীতে গেলে সমগ্র এলাকার ফসলী জমি আর হাজার হাজার একর চিংড়ি ঘের নদীর পানিতে তলিয়ে যাবে। তাতে তদসংলগ্ন পশ্চিম দূগাবাটি, পুর্ব দুর্গাবাটি, আড়পাঙ্গাশিয়া, হেঞ্চি, তালবাড়িয়াসহ অপরাপর গ্রামগুলো প্লাবিত হতে পারে বলেও তিনি জানান।
এদিকে বাঁধ ধসে যাওয়ার খবরে মঙ্গলবার সকালে পাউবো’র শ্যামনগর সাব ডিভিশন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান ভাঙন কবলিত অংশ পরির্দশন করেন। এসময় স্থানীয়রা পাউবো’র সহায়তায় তাৎক্ষনিকভাবে ভাঙন কবলিত অংশে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনের বিস্তৃতি ঠেকানোর কাজ শুরু করে।
পাউবো’র শ্যামনগর সাব ডিভিশন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগে মাটি ভর্তি করে ভাঙন কবলিত অংশে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। নদী ওই অংশে স্কাউরিং এর মাত্রা বেশি হওয়ায় বার বার ওই এলাকা ভাঙছে বলেও তিনি দাবি করেন।
পাঁচ নম্বর পোল্ডারের দুর্গাবাটি ও পোড়াকাটলা এলাকার বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনমুখে রয়েছে। একাধিকবার জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ জিও ব্যাগ প্লেসিং সত্ত্বেও ওই অংশের নদীর চর আগে থেকে দেবে যাওয়ার দরুন সেখানে ভাঙন নিত্যকার বিষয়ে পরিনত হয়। এছাড়া সম্প্রতি ওই এলাকা থেকে ড্রেজিং মেশিনের সহায়তায় লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলনের কারণে সমগ্র এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সূত্র, সুবর্ণভূমি
প্রকাশক ও সম্পাদক :
মোঃ কামরুল ইসলাম
মোবাইল নং : ০১৭১০৭৮৫০৪০
Copyright © 2025 অপরাজেয় বাংলা. All rights reserved.