সবজির ক্রেতা নেই খুলনায়

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স
খুলনায় শাক-সবজিসহ অন্যান্য কাঁচা তরকারির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে এসেছে। তবে পেঁয়াজ ও মাছের দাম এখনও বেশি।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। কয়েক দিন আগেও এ সবজির কেজি ছিল ১২০ টাকা। এছাড়া ওলকপি ৩০, শিম ৪০, বাঁধাকপি ২০-২৫, লাউয়ের পিস ৩০-৩৫ টাকা, মুলা কেজি ২০, ঝিঙে ৩০, বেগুন ৪০, কাঁচা টমেটো ৬০-৭০, পেঁপে ৩০ এবং কচুরমুখী ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা গোলাম রসুল জানান, এক সপ্তাহ আগেও নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। কিন্তু এখন সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে।
একই বাজারের বিক্রেতা হায়দার আলী জানান, গত বছর একই সময় করোনার প্রভাব না থাকায় শহরে মানুষ বেশি ছিল, কিন্তু গত মার্চের পর থেকে শহরে লোক সংখ্যা কমতে থাকে, করোনার কারণে অনেকে শহর ছেড়েছেন। ফলের সবজি বাজারে এখন সরবরাহ বেশি থাকলেও ক্রেতা খুবই কম। আগে সকালে সবজি আনলে দুপুরের আগেই বিক্রি হয়ে যেত, কিন্তু এখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলও সবজি নিয়ে বসে থাকতে হয়।
বড় বাজারে সবজি নিতে আসা গৃহবধূ তামান্না তাছনিম জানান, এক সপ্তাহ আগেও ফুলকপি কিনেছি ৮০ টাকায়। আজ তার থেকেও ভালো ফুলকপি কিনেছি ৩৫ টাকায়। বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় অনেক কমেছে।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজার সবজি বিক্রেতা আইয়ুব হোসেন জানান, সপ্তাহখানেক আগেও চড়া দাম দিয়ে পাইকারি মূল্যে সবজি কিনতে হয়েছে। কিন্তু এখন দাম অনেক কমেছে।
তিনি বলেন, বাজারের সবচেয়ে বেশি মূল্যের বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। কয়েকদিন আগেও এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। সেই মরিচ এখন ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ওজনভেদে ২০০-৩০০ টাকায়। চিংড়ি সাড়ে ৩৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা। ভেটকি সাড়ে ৪৫০-৫৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০, তেলাপিয়া ১২০ টাকা।
এদিকে দেশি পেঁয়াজের দাম এখনো সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। খুচরা বাজারে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর টিসিবির ট্রাক সেলে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
এদিকে সবজির দাম কমলেও চালের বাজার রয়েছে আগের মতই। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা। স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮টাকায়, বালাম চাল ৫০-৫৩ টাকা।
সূত্র, jagonews24.com