যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, দেড়শ জনের ধারণ ক্ষমতার কেন্দ্রটিতে ২৪৮ জন বন্দি রয়েছে। বেশ কিছু দাবিতে তাদের অসন্তোষ রয়েছে। শনিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দিরা বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়। তাদের কথা শুনেছি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি। তিন ঘণ্টা পর বিক্ষুব্ধ বন্দিদের শান্ত করা সম্ভব হয়েছে। সেখানে ভাঙচুর হলেও কেউ আহত হয়নি।
কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানান, বেশ কিছু দিন ধরে কেন্দ্রে প্রত্যেক বন্দিদের জন্য দৈনিক ৭২ টাকা করে খাদ্যের বরাদ্দ দাবি তুলে আসছিলো। তাছাড়া কেন্দ্রটিতে আলাদা আলাদা রুমে সিনিয়র জুনিয়র ভেদে খাদ্য সরবরাহ ও সুযোগ সুবিধার দাবি তুলেছিলো। সেই দাবিতে শনিবার রাতে বন্দিদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে কেন্দ্রের আনসার সদস্যরা বিক্ষোভ বন্ধে অভিযান চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যশোর জেলা পুলিশের দুই শতাধিক সদস্য অভিযান চালান।
এদিকে ঘটনাস্থলে একাধিক কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও প্রস্তুত রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন বন্দি কিশোরের হত্যা ও ১৫ জনের আহত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছিলো। একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে কেন্দ্রে বারবার এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।সূত্র,ডিবিসি নিউজ